এক ম্যাচ আগে লিভারপুলের কাছে ৭-০ গোলে বিধ্বস্ত হওয়ার ক্ষত এখনও সারেনি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের। অ্যানফিল্ডের সেই হতাশা নিয়ে তারা ওল্ড ট্রাফোর্ডে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল টেবিলের তলানীর দল সাউদাম্পটনকে। তবে সাউদাম্পটন তাদের হতাশার মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। তার ওপর বাড়তি পাওনা হিসেবে ছিল চলতি সিজনে ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার ক্যাসেমিরোর দ্বিতীয় লাল কার্ড।
রোববার (১২ মার্চ) ম্যাচের ১৬তম মিনিটে প্রথমবারের মতো এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল রেড ডেভিলসরা। ব্রুনো ফার্নান্দেজের পাস থেকে বল পেয়ে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা মার্কোস রাশফোর্ড শটটাও পোস্টের লক্ষ্যে নিয়েছিলেন। কিন্তু সাউদাম্পটন গোলরক্ষক সেটি ঝাঁপিয়ে ঠেকান।
এরপর আক্রমণে শাণ দেয় সফরকারী সাউদাম্পটন। ২৩তম মিনিটে দলটির থিও ওয়ালকট ছয় গজ দূরত্ব থেকে জোরালো হেড নেন। কিন্তু তার সামনে দেয়াল হয়ে দাঁড়ান ম্যানচেস্টার গোলরক্ষক ডেভিড ডি গিয়া। দারুণ ক্ষিপ্রতায় তিনি বলটি ফিরিয়ে দেন। ৩৪তম মিনিটে ইউনাইটেড বড় ধাক্কা খায়। প্রতিপক্ষের কার্লোস আলকারাসকে ফাউল করে শুরুতে হলুদ কার্ড দেখেন ক্যাসেমিরো। ভিএআর মনিটরে দেখে পরে ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডারকে লাল কার্ড দেন রেফারি। এরপর দশ জনের দল নিয়ে চাপে পড়ে যায় রেড ডেভিলসরা। গোলশূন্য ড্র নিয়ে দু’দল বিরতিতে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধে নেমেই আত্মঘাতী গোল খেতে বসেছিল এরিক টেন হগের দল। সাউদাম্পটনের কাইল ওয়াকার পিটার্সের শট স্কট ম্যাকটমিনের পায়ে লেগে বল জালে জড়াতে যাচ্ছিল। সেটি গোললাইন থেকে ক্লিয়ার করেন অ্যারন ওয়ান-বিসাকা। অবশ্য এরপরই পাল্টা আক্রমণ করে রাশফোর্ডরা। ৬৭তম মিনিটে ২৫ গজ দূর থেকে নেওয়া ফার্নান্দেজের শট গোলরক্ষকের হাত ছুঁয়ে পোস্টে লাগে। দুই মিনিট পরেই ভাগ্যের ফেরে গোল পায়নি সাউদাম্পটনও। ওয়াকার-পিটার্সের সেই প্রচেষ্টা পোস্টে বাধা পায়।
শেষ পর্যন্ত গোল না পাওয়ায় ড্র-য়ের আক্ষেপ নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় এরিক টেন হগের দলকে। ৫৬ ম্যাচ শেষে ৫০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিন নম্বরে আছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। শীর্ষে আর্সেনাল এবং দুইয়ে আছে ম্যান সিটি। ২৬ ম্যাচে ২২ পয়েন্ট নিয়ে সবার তলানীতে অবস্থান সাউদাম্পটনের।
বাংলাদেশ সময়: ১৩:২৪:৪৯ ১৫৯ বার পঠিত