পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে সরকার বদ্ধপরিকর।
এই লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে সকলের প্রতি আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, বিধিমালা যুগোপযোগীকরণ ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে । তবে রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অহেতুক বেশী ও উচ্চশব্দের শব্দযন্ত্র ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, অযথা হর্ন বাজানো, হাইড্রোলিক হর্ন পরিহার করতে গাড়িচালকদো পাশাপাশি পরিবহন মালিক এবং ব্যবহারকারীরাও এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
শাহাব উদ্দিন আজ জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে সমন্বিত ও অংশীদারীত্বমূলক প্রকল্পের অধীনে আয়োজিত সচেতনতামূলক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে কর্মশালায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সরদার রকিবুল ইসলাম, খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক মো. ইকবাল, খুলনার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন এবং খুলনা মেডিকেল কলেজের নাক, কান ও গলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ডা. মোঃ কামরুজ্জামান।
পরিবেশমন্ত্রী জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে এই শব্দদূষণের বিষয়ে বক্তব্য রাখতে ইমাম ও পুরোহিতসহ সকল ধর্মীয় নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।
শাহাব উদ্দিন বলেন, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকেরা জনগণকে সচেতন করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। পরিবেশ অধিদপ্তরের লোকবল সংকট আছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এবিষয়ে সকলের সহযোগিতা চাই।
তিনি হাইড্রোলিক হর্নের উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বিআরটিএ ও পুলিশ বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান।
যানবাহনের ফিটনেস সনদ প্রদানের সময় হাইড্রোলিক হর্ন ও অধিক মাত্রার হর্ন ব্যবহারকারী যানবাহনকে অনুমতি না দেয়ার জন্যও তিনি সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ করেন।
এসময় হাইড্রোলিক হর্ন ও শব্দদূষণের বিরুদ্ধে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করার জন্য মাঠ প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান মন্ত্রী।
এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন, বেশি পরিমাণে সবুজ বৃক্ষ থাকলে শব্দদূষণ কমে আসে। তাই আমাদের বেশি পরিমাণে গাছ লাগাতে হবে। প্রতিবেশী দেশগুলোতে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে থাকলে আমরা কেন পারবো না।
তিনি আরো বলেন, আগামী প্রজন্মের জন্য শব্দদূষণ মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সকলের সহযোগিতা দরকার। মানুষের সুস্থতার স্বার্থেই আমাদেরকে শব্দদূষণ রোধে সকলকে কাজ করতে হবে।
কর্মশালায় বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি দপ্তরের প্রতিনিধিরা শব্দদূষণরোধে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। এছাড়াও, কর্মশালায় উপস্থিত সকলকে শব্দদূষণ হতে রক্ষা পেতে ইয়ারপ্লাগ এবং ও এ বিষয়ে সচেতন করতে স্টিকার দেয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:০০:৩২ ১৫৮ বার পঠিত