ঘূর্ণিঝড় ‘ফ্রেডি’র আঘাতে আফ্রিকার তিনটি দেশে ৪৬৩ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে এবং মালাবিতে পাঁচ লাখেরও অধিক মানুষ ক্ষতির শিকার হয়েছে। রেকর্ড ব্রেকিং তা-ব চালানোর পর চলতি সপ্তাহে ঝড়টি দুর্বল হয়ে পড়ে। শুক্রবার জাতিসংঘ এ কথা জানিয়েছে। খবর এএফপি’র।
ঝড়ের প্রভাবে মালাবি’র দক্ষিণাঞ্চলে ছয় দিনে ছয় মাসের সমান বৃষ্টিপাত হয়েছে। এ প্রাকৃতিক দুর্যোগে অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে এবং কৃষি জমি ডুবে গেছে।
জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয় দপ্তরের (ওসিএইচএ) এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভয়াবহ এ দুর্যোগে ‘পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’ এতে আরো বলা হয়, ১৮৩,১০০ এর অধিক মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে।
শুক্রবার রাতে প্রকাশিত সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মালাবিতে ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে প্রায় ৩৬০ জন প্রাণ হারিয়েছে। দেশটির মোট জনসংখ্যা প্রায় দুই কোটি।
প্রেসিডেন্ট লাজারাস চাকভারা বলেন, ‘এখনো যেসব এলাকায় উদ্ধার তৎপরতা চালানো হয়নি সেসব এলাকায় উদ্ধার অভিযান চালানো শুরু হলে ক্ষয়ক্ষতির ও নিহতের চিত্রের আরো অবনতি হবে বলে আমরা ধারণা করছি।’ তিনি তিন দিন ধরে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করছেন।
ওসিএইচএ জানায়, বর্ষাকালের একেবারে শেষের দিকে রেকর্ড-ব্রেকিং ঘূর্ণিঝড় ‘ফ্রেডি’ মালাবিতে আঘাত হানে। আর এই সময়টাতে দেশটিতে নদী ও জলাশয় পানিতে পরিপূর্ণ থাকে।
জাতিসংঘ বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) কান্ট্রি ডিরেক্টর পল টার্নবুল শুক্রবার বলেছেন, দেশটির জন্য যে ব্যাপক সহায়তা প্রয়োজন, তা সেখানকার বর্তমান পরিস্থিতিতে স্পষ্টভাবে বোঝা যায়।
তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা এমন পরিস্থিতি যত দ্রুত সম্ভব কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করছি। সেখানে এ মর্মান্তিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত ১৩০,০০০ মানুষের জরুরি সহায়তা প্রয়োজন।
চাকবারা বলেন, এ পর্যন্ত সরকার গৃহহীন হয়ে পড়া ১৮৩,০০০ এর বেশি মানুষের নাম তালিকাভূক্ত করেছে। তিনি এ দুর্যোগ মোকাবেলায় বিশ্বের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন।
ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ৩০০টিরও বেশি আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।
এদিকে সেনা ও পুলিশ বাহিনী লাশের সন্ধানে অনুসন্ধান অভিযান অব্যাহত রেখেছেন।
আফ্রিকার তিনটি দেশে এ ঘূর্ণিঝড়ে মোট ৪৬৩ জন প্রাণ হারিয়েছে। এদের মধ্যে মালাবিতে ৩৬০ জন, মোজাম্বিকে ৮৬ জন ও মাদাগাস্কারে ১৭ জন রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪:১৬:১০ ১৪০ বার পঠিত