প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের সরকার দেশের উন্নয়নে পরিকল্পিতভাবে কাজ করছে। আমরা সবসময় বিষয়ভিত্তিক গবেষণায় জোর দিয়ে থাকি।
বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে নয় বিশিষ্ট ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানকে ২০২৩ সালের স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকায় গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত ছিল। সে কারণেই দেশে এত উন্নয়ন হচ্ছে। আর ক্ষমতাকে আমারা জনগণের সেবা করার সুযোগ হিসেবে দেখি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের পর করোনার ধাক্কা, এরপর ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে আমাদের দেশের অগ্রযাত্রা ব্যহত হয়েছে। এরপরও আমরা চেষ্টা করছি অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে। করোনার সময় আমরা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি।
সরকার প্রধান বলেন, রমজানে এক কোটি পরিবারকে কমমূল্যে পণ্য দিচ্ছি। আমরা ভর্তুকি দিয়ে রমজানের পণ্য তাদের হাতে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করছি। আমরা মানুষের কষ্ট যখন দেখি তখন তা কীভাবে লাঘব করব সেই চেষ্টা করি।
শেখ হাসিনা বলেন, নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু করার কথা যখন বলেছি তখন অনেকে বলেছিলেন দেশের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্ভব না। কিন্তু আমরা আত্মবিশ্বাস নিয়ে কাজ করেছি। আমরা বলেছিলাম নিজেদের টাকায় সেতু করব। বঙ্গবন্ধু তার বক্তব্যে বলেছিলেন কেউ দাবাইয়া রাখতে পারবে না। আমরা পদ্মা সেতু করে দেখিয়ে দিয়েছি বাংলাদেশ পারে।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ৯ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানকে ২০২৩ সালের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় এই বেসামরিক পুরস্কার তুলে দেন।
তারা হলেন- বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল (অব.) সামসুল আলম, মরহুম লে. এ জি মোহাম্মদ খুরশীদ, শহিদ খাজা নিজামউদ্দিন ভূঁইয়া এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী (মায়া) বীর বিক্রম। এ ছাড়া সাহিত্যে মরহুম ড. মুহাম্মদ মঈনুদ্দিন আহমেদ (সেলিম আল দীন), সংস্কৃতিতে পবিত্র মোহন দে, ক্রীড়ায় এ এস এম রকিবুল হাসান, গবেষণা ও প্রশিক্ষণে বেগম নাদিরা জাহান (সুরমা জাহিদ) ও ড. ফেরদৌসী কাদরী পুরস্কার পেয়েছেন। আর পুরস্কারের জন্য মনোনীত প্রতিষ্ঠানটি হলো ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর।
১৯৭৭ সাল থেকে প্রতি বছর সরকার স্বাধীনতা পুরস্কার দিয়ে আসছে। এটি দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার। স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্তদের ৫ লাখ টাকা, আঠারো ক্যারেট মানের পঞ্চাশ গ্রাম স্বর্ণের পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১২:৫৮:০০ ১৩৪ বার পঠিত