সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩

বাংলা ভাষার সার্বজনীন গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করতে হবে : টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » বাংলা ভাষার সার্বজনীন গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করতে হবে : টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩



বাংলা ভাষার সার্বজনীন গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করতে হবে : টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বাংলা ভাষার সার্বজনীন গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলার জন্য রক্ত দিয়েছি, বাংলা আমাদের রাষ্ট্রভাষা, ৩৫ কোটি মানুষের এই ভাষার সব কিছু আমাদেরকেই করতে হবে। ডিজিটাল প্রযুক্তিতে বাংলা ভাষার উন্নয়নের দায়িত্ব্ আমাদের।’
পৃথিবীতে বাংলা ভাষা ভিত্তিক একমাত্র রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকেই এ ভাষার মর্যদা রক্ষা করতে হবে উল্লেখ করে ম্স্তোাফা জব্বার বলেন, ‘আমাদের দুর্ভাগ্য যে ইউনিকোডে বাংলা এনকোডিং করার সময় আমরা তার সদস্য ছিলাম না। প্রতিবেশী দেশের বাংলাভাষাভাষীরা বাংলাকে দেবনাগরীর মতো করে এনকোডিং করে আমাদের ভাষার স্বাতন্ত্রকে সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করেছে। আমরা দীর্ঘদিন যুদ্ধ করেও এর সমাধান করতে পারছিনা। ইতোমধ্যে বাংলার প্রমিত মান তৈরি করা হয়েছে। বাংলার জাতীয় মান ইউনিকোডের মান হিসেবে নিশ্চিত করতে ইউনিকোড কনসোর্টিয়ামে তা পেশ করতে হবে।’
তিনি এ বিষয়ক গঠিত কারিগরি কমিটিতে বাংলাদেশের অংশগ্রহণের বিষয়টি নিশ্চত করার নির্দেশনা প্রদান করেন।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় বিটিআরসি মিলনায়তনে বিটিআরসি ও বিআইজিএফ’র যৌথ উদদ্যোগে আয়োজিত ‘ডিজিটাল প্রযুক্তিতে বাংলা ভাষার স্বার্বজনীন গ্রহণযোগ্যতা এবং বাংলাদেশের পর্যবেক্ষণ’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ নির্দেশনা প্রদান করেন।
বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও বিআইজিএফ’র সভাপতি হাসানুল হক ইনু সম্মানিত অতিথি, সংসদ সদস্য আফরোজা হক রীনা এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নিবাহী পরিচালক রণজিৎ কুমার বক্তব্য রাখেন।
সূচনা বক্তব্য রাখেন বিটিআরসি‘র মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. এহসান কবীর। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিআইজিএফ’র সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ আব্দুল হক (অনু)।
টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, বিশ্বের ৩৫ কোটি বাংলাভাষাভাষীর জন্য বাংলাদেশই হচ্ছে বাংলা ভাষার রাজধানী। বাংলাদেশই ডিজিটাল প্রযুক্তিতে বাংলার এনকোডিং ও কিবোর্ডের মান প্রমিত করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই বাংলার ১৬টি টুলস উন্নয়নে ১শ’ ৫৯ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করেছেন, যার কাজ চলমান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে প্রকাশনার জন্য বস্তুত একটিই কিবোর্ড ও সফটওয়্যার ব্যবহৃত হয়। এখানে আসকি ও ইউনকোডের মধ্যে যে দেওয়াল আছে তা ভেঙে ফেলা হয়েছে। তারপরও ইউনিকোড কনভার্সনে যে জটিলতা হয় তার অপরাধ বাংলা ভাষাভাষীদের নয়। ভাষা ও সাহিত্যের প্রাযুক্তিক সমস্যাটার পেছনে ইউনিকোড কনসোর্টিয়ামের দায় রয়েছে।
ডিজিটাল প্রযুক্তিতে বাংলা ভাষার উদ্ভাবক মোস্তফা জব্বার বলেন, ‘আমাদের ভাষাকে একটি স্বতন্ত্র্য ভাষা হিসেবে গণ্য না করে আমাদেরকে ‘দেবনাগরীর’ অনুসারী করে প্রচার কমতি করা হয়েছে। এজন্যই এখনো আমাদেরকে নোক্তা নিয়ে যুদ্ধ করে বেড়াতে হচ্ছে। অথচ বংলা বর্ণে কোনে নোক্তা নেই। ইউনিকোড যদি বাংলাকে বাংলার মতো দেখে এই সমস্যাগুলো সমাধান করে ফেলতো তাহলে যে সমস্যাগুলো এখন মোকাবেলা করতে হচ্ছে তা আমরা করতাম না।’
হাসানুল হক ইনু বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশে কর্মসূচির ফলে গত ১৪ বছরে দেশে বিস্ময়কর অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্মার্ট মানব সম্পদ গড়ে তোলা অপরিহার্য-এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, চলমান শিল্প বিপ্লবে ডিজিটাল বৈষম্য কাম্য নয়।
সংসদ সদস্য আফরোজা হক রীনা ডিজিটাল প্রযুক্তিতে নারীদের অংশ গ্রহণের পাশাপাশি তাদের জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ২৩:০৫:৩৯   ১৫৯ বার পঠিত