বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩

দেশের বর্তমান সংবিধানের বিরুদ্ধে যারা কথা বলে তারা জাতীয় শত্রু : আমু

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » দেশের বর্তমান সংবিধানের বিরুদ্ধে যারা কথা বলে তারা জাতীয় শত্রু : আমু
বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩



দেশের বর্তমান সংবিধানের বিরুদ্ধে যারা কথা বলে তারা জাতীয় শত্রু : আমু

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেছেন, দেশের বর্তমান সংবিধানের বিরুদ্ধে যারা কথা বলে, তারা জাতীয় শত্রু।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে কেন্দ্রীয় ১৪ দল আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আমির হোসেন আমু বলেন, যারা দেশের অস্তিত্ব নিয়ে কথা বলে, তাদের কেন সংশ্লিষ্ট আইনে গ্রেফতার করা হয় না? শাস্তি দেওয়া হয় না? এটাই আজ আমাদের জিজ্ঞাসা। আইনের যথাযথ প্রয়োগ করে স্বাধীনতা বিরোধীদের জনগণের সামনে শাস্তি দেওয়া হোক।
আওয়ামী লীগের প্রবীন এই নেতা বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর কে ক্ষমতায় এলো? খন্দকার মোস্তাক, আওয়ামী লীগ নেতা, অর্থাৎ একটা ধারণা দেওয়া হলো আওয়ামী লীগপন্থিরাই ক্ষমতায় আছে। তার আড়াই মাস পর ক্ষমতায় এলো জিয়াউর রহমান। পরিচয় কি? মুক্তিযোদ্ধা। কর্মকান্ড কী? কর্মকান্ড হচ্ছে অমুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মূল্যবোধকে হত্যা করে এই দেশে পাকিস্তানী রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করা। সেই লক্ষ্যে সেদিন ১৫ আগস্ট সংঘটিত করে এদের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি বলেন, যতই স্বাধীনতা বিকৃতির চেষ্টা করা হোক না কেন, প্রকৃত ইতিহাস মুছে দেয়া যায় না। বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর দিকে তাকালে উপলব্ধি করা যায় যে, বাংলাদেশ কতটুকু এগিয়েছে।
তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে বিকৃত করে ভোট ডাকাতির নির্বাচন করেছিলো বিএনপি-জামায়াত। স্বাধীন নির্বাচনের জন্য আমরাই লড়াই করেছি বলেই ফখরুদ্দীনরা নির্বাচন দিতে বাধ্য হয়েছিলো। আমরা একটি অংশগ্রহণ,অন্তর্ভুক্তিমুলক, স্বচ্ছ নির্বাচন চাই, বিএনপি নির্বাচনে যাক না যাক সেটা তাদের বিষয়। কিন্তু কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করে লাভ নেই।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি বলেন, ইতিহাসের মীমাংসিত বিষয়ে কারো দ্বিমত থাকা উচিত নয়। একাত্তরের মীমাংসিত বিষয়কে বিএনপি অস্বীকার করে বাংলাদেশ দখল করেছিলো। বিএনপি গণতন্ত্রের কুর্তা গায়ে দেয়া আধুনিক রাজাকার প্রতিষ্ঠাকারী দল।
তিনি বলেন, সামরিক শাসকের ঔরসজাত দল বিএনপি। আন্দোলনের নামে বিএনপি আবারও রাজনৈতিক অপরাধ করছে, যা এ দেশের জন্য অশনি সংকেত। গণতন্ত্রের কুর্তা গায়ে দিয়ে তারা আবারও জামায়াতকে হালাল করার চেষ্টা করছে।
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার দিবাস্বপ্ন দেখে লাভ নেই, এটি আর ফিরে আসবে না। বিরোধীদলের সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হতে পারে, কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে আলোচনা হবে না।
তিনি বলেন, যারা এদেশের সংবিধান মানে না, নির্বাচন কমিশন মানে না; তারা একটা ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করার জন্য অগ্রসর হচ্ছে। আজকে তারা বাক সন্ত্রাস করছে, ভবিষ্যতে তারা আবার আগুন সন্ত্রাস ও প্রকৃত সন্ত্রাসের দিকে ধাবিত হচ্ছে। তাই আসুন এদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলি।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, মিথ্যা খবরের দায়ভার প্রথম আলোকেই নিতে হবে। কারণ, এটাই প্রথম নয়, এই প্রথম আলো বহুবার আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে।
তিনি বলেন, ২৬ মার্চ আমাদের মহান স্বাধীনতা দিবস। সেই দিবসে একটা শিশুর ছবি দিয়ে প্রথম আলোতে একটা নিউজ করা হয়েছে, যে নিউজটা পরিকল্পিতভাবে, ষড়যন্ত্রমূলকভাবে করা হয়েছিল।
আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃনাল কান্তি দাসের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, গণতান্ত্রিক পার্টির নেতা ডা. শাহাদাৎ হোসেন, গণআজাদী লীগের সভাপতি এসকে সিকদার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২৩:৩২:৫৫   ১৬৮ বার পঠিত