২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে খরিপ -১ মৌসুমে (পাট- আউশ ধান) উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে গোপালগঞ্জ জেলায় ২৮ হাজার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক বিনামূল্যে পায়েছে প্রণোদনা এবং পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় বিনামূল্যে বীজ ও সার ।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির উপপরিচালক আব্দুল কাদের সরদার এ তথ্য জানিয়েছেন।
ওই কর্মকর্তা জানান গোপালগঞ্জ জেলার ৫ উপজেলা ১৮ হাজার কৃষকের মাঝে ১ কেজি করে পাট বীজ ও ১০ হাজার কৃষকের মাঝে ৫ কেজি করে আউশ ধানের বীজ এবং ১০ কেজি করে ডিএপি ও ১০ কেজি করে এমওপি সার বিতরণ করা হয়েছে।
এরমধ্যে পাট বীজ পেয়েছেন গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ৩ হাজার ৫০০ কৃষক, মুকুসুদপুর উপজেলার ৭০০০ কৃষক, কাশিয়ানী উপজেলার ৪ হাজার ৫০০ কৃষক, কোটালীপাড়া উপজেলার ১ হাজার ৫০০ কৃষক ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ১ হাজার ৫০০ কৃষক। এছাড়া ৫ কেজি করে আউশ ধানের বীজ এবং ১০ কেজি করে ডিএপি ও ১০ কেজি করে এমওপি সার পেয়েছেন গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ২ হাজার ৪০০ কৃষক, মুকসুদপুর উপজেলার ১ হাজার ৪০০ কৃষক, কাশিয়ানী উপজেলার ২০০০ কৃষক, কোটালীপাড়া উপজেলার ২ হাজার ২০০ কৃষক ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ২০০০ কৃষক।
ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট উপজেলা কৃষি অফিস থেকে এসব বীজ ও সার বিতরণ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাফরোজা আক্তার বলেন, খরিপ-১ মৌসুমে পাট ও আউশ ধান ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে প্রণোদনা এবং পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় বিনামূল্যে ইতিমধ্যে ৫ হাজার ৯০০ কৃষকের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে।
এ বীজ ও সার দিয়ে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার কৃষকরা পাট ও আউশ ধানের আবাদ বৃদ্ধি করবেন। এরমধ্য দিয়ে এ উপজেলায় পাট ও আউশ ধানের অধিক ফলন পাওয়া সম্ভব হবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কোটালীপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নিটুল রায় বলেন, পাট বীজ বিতরণের পর কৃষক জমিতে পাটবীজ বপন করেছেন। আর আউশ বীজ দিয়ে কৃষক বীজতলা করার প্রস্তুতি নিয়েছে। এতে করে কেটোলীপাড়া উপজেলায় এ মৌসুমে পাট ও আউশ ধানের আবাদ বৃদ্ধি পাবে।
গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া উপজেলার রাধাগঞ্জ গ্রামের কৃষক জমির উদ্দিন ও নাদের আলী বলেন, আমরা পাট বীজ পেয়েছি ১৫ দিন আগে। পাটবীজ হাতে পাওয়ার পর কয়েক দফা বৃষ্টি হয়েছে। মাটিতে জো এসছে। এ সুযোগে সম্প্রসারণের পরামর্শে গত সপ্তাহে পাটবীজ মাঠে বুনে দিয়েছি। সরকারের এ সহযোগিতা পেয়ে আমরা খুবই উপকৃত হয়েছি। এ জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।
গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ডুমরিয়া গ্রামের কৃষক আলী হোসেন ও সাধন গাইন বলেন, আমরা আউশ ধানের বীজ পেয়েছি। এ বীজ দিয়ে বীজ তলা তৈরীর প্রস্তুতি নিচ্ছি। ক্ষেতের বোরোধান কাটার পর সেখানে আউশ ধানের আবাদ করব। সরকারের এ সহযোগিতা পেয়ে আমরা আউশের আবাদ বৃদ্ধি করতে পারব। এতে আউশের উৎপাদন বাড়বে। এ সহযোগিতা করার জন্য সরকার প্রধান শেখ হাসিনার প্রতি আমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
বাংলাদেশ সময়: ১২:১৪:৫২ ১৭৩ বার পঠিত