শনিবার, ৮ এপ্রিল ২০২৩

এ বছর চা উৎপাদনে রেকর্ড গড়ার সম্ভাবনা

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » এ বছর চা উৎপাদনে রেকর্ড গড়ার সম্ভাবনা
শনিবার, ৮ এপ্রিল ২০২৩



এ বছর চা উৎপাদনে রেকর্ড গড়ার সম্ভাবনা

মৌলভীবাজারের পাহাড় টিলায় যতদূর চোখ যায় কেবল সবুজ আর সবুজের হাতছানি। কচি পাতার সমারোহে ভরে উঠছে পুরো চা বাগান। মৌসুমের শুরুতে নতুন পাতা উত্তোলনে ব্যস্ত সময় পার করছেন চা শ্রমিকরা। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে এ বছর রেকর্ড পরিমাণ চা উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, টানা কয়েক মাস খরার পর বৃষ্টির পানি পেয়ে বদলে গেছে মৌলভীবাজারের চা বাগানের চিত্র। কচি পাতায় রঙ লেগে পরিণত হয়েছে সবুজের গালিচায়। ভোর থেকেই এ কচি পাতা উত্তোলনে ব্যস্ত সময় পার করছেন নারী শ্রমিকরা। যে যত বেশি চা পাতি উত্তোলন করবে- সে ততই লাভবান। এতে বিরামহীন নারী চা-শ্রমিকরা সন্ধ্যার আগপর্যন্ত চলে তাদের পাতি তোলার কাজ।

মৌসুমের শুরুতেই বেশি বেশি চা পাতা উঠাতে পাড়ায় তারা খুশি। তবে বাগান থেকে কচি পাতা সংগ্রহের পর সরাসরি নিয়ে যাওয়া হয় কারখানায়। সেখানে কয়েক দফা বাছাইয়ের পর প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি হয় চা।

সংশ্লিষ্টরা বলেন, এ বছর চা উৎপাদন মৌসুমের শুরুতে টানা কয়েক মাস চা-বাগানগুলো প্রচণ্ড খরার কবলে পড়ে। তবে মার্চ মাসের শেষ পর্যায়ে এসে বৃষ্টিপাত চা উৎপাদনে আর্শিবাদ হয়ে দেখা দেয়। এরইমধ্যে জেলার সবকটি চা-বাগানে পাতা উত্তোলনের কাজ শুরু হয়ে গেছে।

শ্রীমঙ্গল ভাড়াউড়া চা বাগানের রাজন সর্দার বললেন, নতুন পাতা উত্তোলন করতে পারায় তারা খুশি।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ টি অ্যাসোসিয়েশনের সিলেট শাখার চেয়ারম্যান জি এম শিবলী বলেন, আবহাওয়ার এ ধারা অব্যাহত থাকলে এ বছর চায়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণের সম্ভাবনা রয়েছে।

বাংলাদেশ চা-বোর্ডের দেয়া তথ্যমতে, ২০২৩ সালে ১০ কোটি ২০ লাখ কেজি চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ২০২২ সালে দেশের ১৬৭টি বাগানে চা উৎপাদন হয়েছে ৯ কোটি ৩৮ লাখ কেজি। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০ কোটি কেজি। ফলে বছর শেষে ৬২ লাখ কেজি চা কম উৎপাদন হয়েছে। এ ছাড়া ২০২১ সালের চেয়েও উৎপাদন কমেছে ২৭ লাখ কেজি বা ৩ শতাংশ।

বাংলাদেশ সময়: ১২:১৪:৪৪   ১৬৯ বার পঠিত