নোয়াখালীর কবিরহাটে হত্যা মামলার যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মো. রাসেলকে (৩৫) ১৪ বছর পর গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
শুক্রবার রাজধানীর কেরানীগঞ্জের ধোলাইখাল এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-২- এর একটি আভিযানিক দল।
গ্রেপ্তারকৃত রাসেল জেলার সুধারাম সদর থানার আব্দুল হকের ছেলে।
র্যাব সূত্রে জানা গেছে, হত্যাকাণ্ডের পর থেকে রাসেল রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিজের নাম পরিবর্তন করে প্রথমে ঢাকায় ট্রাকের হেলপার এবং পরবর্তীতে দেশের বিভিন্ন স্থানে মিনি ট্রাক ড্রাইভার হিসেবে গাড়ি চালিয়ে আত্মগোপনে থাকতেন। গ্রেপ্তারের পর রাসেল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
বিগত ২০০৯ সালের ২৭ জানুয়ারি রাতে নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার নলুয়া গ্রামের রুহুল আমিনকে স্থানীয় ল্যাংড়ার দোকানের পাশে একই গ্রামের আসামিরা পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে তৎকালীন নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনার পরদিন নিহতের স্ত্রী মিনারা আক্তার বাদী হয়ে পাঁচজনের বিরুদ্ধে কবিরহাট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। উক্ত ঘটনায় কবিরহাট থানা-পুলিশ মামলার তদন্ত শেষে অভিযুক্ত পাঁচ আসামির বিরুদ্ধেই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। বিজ্ঞ আদালত দীর্ঘ বিচারিক কার্যক্রম শেষে উক্ত মামলায় রুহুল আমিনকে হত্যার ঘটনায় পিতা-পুত্রসহ পাঁজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, আবুল হাসেম ও তার ছেলে নূরনবী, আব্দুল হক ও তার ছেলে মো. রাসেল এবং আবদুর রহিম। একই আদেশে আদালত আসামিদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদণ্ডের আদেশ দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আবুল হাসেম ছাড়া বাকি আসামিরা পলাতক রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২:৫০:৫৭ ১৫৫ বার পঠিত