সোমবার, ১০ এপ্রিল ২০২৩

সুন্দরবনের বাঘ সংরক্ষণের জন্য ভারতের সাথে আন্তঃসীমান্ত সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ - পরিবেশমন্ত্রী

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » সুন্দরবনের বাঘ সংরক্ষণের জন্য ভারতের সাথে আন্তঃসীমান্ত সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ - পরিবেশমন্ত্রী
সোমবার, ১০ এপ্রিল ২০২৩



সুন্দরবনের বাঘ সংরক্ষণের জন্য ভারতের সাথে আন্তঃসীমান্ত সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ - পরিবেশমন্ত্রী

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, বাংলাদেশের সাথে ভারতের বাঘ এবং চিতাবাঘের আবাসস্থল সংযুক্ত থাকায় এদের সংরক্ষণের জন্য ভারতের সাথে আন্তঃসীমান্ত সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ। পৃথিবীতে সাতটি বড় বিড়াল প্রজাতি এবং বাংলাদেশে দুটি সংকটাপন্ন বড় বিড়াল প্রজাতির সংরক্ষণের গুরুত্ব বিবেচনা করে আমরা এই প্রজাতিগুলির আবাসস্থল দেশগুলির সদস্যপদ নিয়ে ইন্টারন্যাশনাল বিগ ক্যাটস অ্যালায়েন্স গঠনে নীতিগতভাবে সমর্থন করি।

গতকাল সন্ধ্যায় ভারতের কর্ণাটকের মহীশুর ইউনিভার্সিটিতে বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্পের ৫০ বছর উদযাপনের অংশ হিসেবে আয়োজিত বাঘ সংরক্ষণ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সরকার স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সক্রিয় অংশগ্রহণে শিকারের লক্ষ্যমাত্রা শূণ্যে নামিয়ে বন্য বাঘের সংখ্যা দ্বিগুণ করার প্রত্যয় নিয়ে কাজ করছে। এটা আশার বিষয় যে বাঘের সংখ্যা ঊর্ধ্বমুখী হতে শুরু করেছে। তিনি বলেন, অন্যান্য বন্য প্রজাতিসহ আমাদের জাতীয় প্রাণী সংরক্ষণে সরকার বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ নিয়েছে। জীববৈচিত্র্য, জলাভূমি, বন ও বন্যপ্রাণী রক্ষা ও উন্নতির জন্য সংবিধানে একটি নতুন ধারা; বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২-এ বাঘ শিকারের জন্য ২ থেকে ৭ বছরের কারাদণ্ড এবং ১ লাখ টাকা জরিমানার বিধান সন্নিবেশিত করা হয়েছে।

শাহাব উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ সরকার জাতীয় পশু পুনরুদ্ধার কর্মসূচি (২০২২ থেকে ২০৩৪) এবং দ্বিতীয় প্রজন্মের বাংলাদেশ টাইগার অ্যাকশন প্ল্যান (২০১৮-২০২৭) বাস্তবায়ন করছে। এর মধ্যে রয়েছে বাঘ জরিপ; জেনেটিক অধ্যয়ন; সুন্দরবনের অভ্যন্তরে ড্রোন দ্বারা স্মার্ট টহল এবং পর্যবেক্ষণ; সুন্দরবন ও বেঙ্গল টাইগারের সুরক্ষা এবং সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে বন বিভাগের ফ্রন্টলাইন কর্মীদের পাশাপাশি স্থানীয় সম্প্রদায়ের জন্য সক্ষমতা বৃদ্ধি কর্মসূচি। তিনি বলেন, সহযোগিতা জোরদারকরণের মাধ্যমে সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগার সংরক্ষণের জন্য ২০১১ সালে বাংলাদেশ ও ভারত একটি প্রটোকল স্বাক্ষর করেছে।

মন্ত্রী বলেন, বাঘ- মানব সংঘাত কমাতে আমাদের সরকার গ্রাম টাইগার রেসপন্স টিম, কো-ম্যানেজমেন্ট কমিটি এবং কমিউনিটি পেট্রোল গ্রুপ গঠন করে স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে বাঘ সংরক্ষণ কার্যক্রমে নিয়োজিত করেছে। বন্যপ্রাণীর দ্বারা ক্ষতিপূরণ বিধিমালা, ২০২১-এ বাঘের দ্বারা নিহত ব্যক্তির জন্য ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিধান রয়েছে।

উল্লেখ্য, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিশ্বের সাতটি বড় বিড়াল প্রজাতির প্রাণী যেমন বাঘ, সিংহ, চিতাবাঘ, তুষার চিতা, পুমা, জাগুয়ার এবং চিতার সুরক্ষা এবং সংরক্ষণের ওপর ফোকাস করার জন্য ইন্টারন্যাশনাল বিগ ক্যাটস অ্যালায়েন্স উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে এসকল প্রজাতিকে আশ্রয় দেয়া দেশসমূহের পরিবেশ ও বনমন্ত্রীগণ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২৩:১৭:৩৬   ১৩৯ বার পঠিত