আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে শেষ বলে নাটকীয় জয় পেয়েছে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস।
সোমবার (১০ এপ্রিল) চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে এ জয় পায় দলটি।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ২ উইকেট হারিয়ে ২১২ রানের বড় সংগ্রহ পায় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু।
ওপেনিংয়ে দুর্দান্ত শুরু করেন কোহলি ও ডু প্লেসি। তারা ৬৯ বলে গড়েন ৯৬ রানের জুটি। দুইজনই পান ফিফটির দেখা। এই জুটি ভাঙেন অমিত মিশরা। ৪৪ বলে ৪ ছক্কা ও ৪ চারে ৬১ রান করে আউট হন কোহলি। তবে ডু প্লেসি তিনে নামা ম্যাক্সওয়েলকে নিয়ে গড়েন শতরানের জুটি। ২৪ বলে ফিফটি হাঁকান ম্যাক্সওয়েল।
তাদের মাত্র ৫০ বলে ১১৫ রানের জুটিতে দুইশ পার করে ব্যাঙ্গালুরু। শেষদিকে ম্যাক্সওয়েলকে বিদায় করে এই জুটি ভাঙেন মার্ক উড। ২৯ বলে ৬ ছক্কা ও ৩ চারে ৫৯ রান করে বিদায় নেন তিনি । ৪৬ বলে ৫ ছক্কা ও ৫ চারে ৭৯ রান করে অপরাজিত থাকেন ডু প্লেসি।
রান তাড়া করতে নেমে ২৩ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে লক্ষ্ণৌ। কাইল মায়ার্স ০, দিপক হুডা ৯ ও ক্রুনাল পান্ডিয়া ০ রানে বিদায় নেন। এরপর স্টইনিস এসে ঝোড়ো ব্যাটিং শুরু করেন; তাকে সঙ্গ দেন লোকেশ রাহুল। ২৫ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন স্টয়নিস। রাহুল অবশ্য বিদায় নেন ১৮ রান করেই। তবে স্টইনিস করেন ৩০ বলে ৫ ছক্কা ও ৬ চারে ৬৫ রান।
এরপর ব্যাটিংয়ে নেমেই তাণ্ডব চালিয়ে মাত্র ১৫ বলে তুলে নেন অর্ধশতক নিকোলাস পুরান। যেটি এই আসরেরর দ্রুততম ফিফটি। কিন্তু জয় নিশ্চিত করার আগেই ১৯ বলে ৭ ছক্কা ও ৪ চারে ৬২ রান করে বিদায় তিনি। আয়ুস বাধোনিও চেষ্টা চালান জয় নিশ্চিত করতে। তবে ২৪ বলে ৩০ রান করে আউট হন তিনি।
শেষ ওভারে লক্ষ্ণৌয়ের দরকার ছিল ৫ রান। এই ৫ রান তুলতে গিয়ে ২ উইকেট হারায় তারা। শেষ বলে তাদের প্রয়োজন ছিল এক রান। হার্শাল প্যাটেলের বলে ব্যাট লাগাতে না পারলেও দৌড় দেন আভেশ খান। ফলে জয় নিশ্চিত হয় দলটির।
বাংলাদেশ সময়: ১১:২৪:০০ ১৩০ বার পঠিত