আজ ১৫ ই এপ্রিল শনিবার সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সর্বপ্রথম রেকর্ড পরিমাণ ডায়রিয়া রোগী ভর্তি। বৈশাখের শুরুতেই তাপ প্রবাহ বৃদ্ধির কারণে বেড়ে গিয়েছে ডায়রিয়া রোগী সংখ্যা।৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এখন ধারণক্ষমতার অধিক রোগী ভর্তি হয়েছে ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে। বৈশাখের তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য ইতোমধ্যেই দিনের বেলায় বাজার ঘাটে কমে গিয়েছে মানুষ জনের চলাচল । তাপপ্রবাহের প্রভাব পড়েছে ঈদ বাজারেও ঈদ বাজারগুলো ঘুরে জানা গিয়েছে তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য সকালে মানুষের ব্যাপক ভিড় থাকলেও দিন বাড়ার সাথে সাথে ভিড় কমতে থাকে ঈদ বাজারে। পরিবহন চালকরাও জানিয়েছেন তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য দিনের বেলায় যাত্রী ও সে রকম দেখা যাচ্ছে না, ঈদ কেন্দ্রিক যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় এখনো দেখা যায়নি বাজার বা যানবাহন গুলোতে।
তাপপ্রবাহের কারণে মানুষকে সচেতন থাকতে ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের(আর এম ও) শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের কে জানিয়েছেন তাপ প্রবাহের
কারণে কলারোয়া উপজেলায় অন্যান্য বছর থেকে এবছর অধিক হারে ডায়রিয়া রোগী বৃদ্ধি হয়েছে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে প্রায় ৬৫ জন ভর্তি রয়েছে তার ভিতরে ৩০ জনই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। তাপ প্রবাহ বৃদ্ধির কারণে জনসাধারণকে ইফতারিতে ভাজাপোড়া খাবার এবং শিশুদের জন্য ফাস্টফুড জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে এবং বাসি পচা খাবার বলতে যেটা বোঝায় সেটা মোটেও খাওয়া যাবেনা অতি গরমের কারণে এগুলো নষ্ট হয়ে গেলে ডায়রিয়া সহ বিভিন্ন রোগ দেখা দিতে পারে তবে এই তাপপ্রবাহে প্রচুর পরিমাণে স্যালাইন পানি বিশুদ্ধ পানি এবং ডাবের পানি খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন এই ডাক্তার।
এ বিষয়ে কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান সান্টু সাংবাদিকদের কে জানিয়েছেন ডায়রিয়া ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়াজনিত একটি রোগ। ইতোমধ্যে কলারোয়ায় এই রোগের প্রকোপ বেড়েছে এবং কলারোয়া হাসপাতালে ইতোমধ্যে ৩০জন ভর্তি রয়েছে এবং এই ২-৩ দিনের ভিতরে আমরা অনেককে সুস্থ হয়ে বাড়িও ফিরে গিয়েছে । কলেরায়া উপজেলার বাসিকে সতর্ক করে তিনি বলেন, সকলেই নিয়মিত বিশুদ্ধ পানি পান করুন ডাবের পানি খান এবং যে কোন সমস্যা দেখা দিলে হাসপাতাল ২৪ ঘন্টার জন্য হাসপাতালে এসে চিকিৎসা নেয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।
হাসপাতাল ঘুরে দেখা গিয়েছে হাসপাতালে দায়িত্বরত এমবিবিএস ডাক্তার নার্স ওয়ার্ড বয় সহ সকলেই ব্যস্ত সময় পার করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ওয়ার্ড বয় সাংবাদিকদের কে জানান, গত কয়েকদিন ধরে ডায়রিয়া রোগী বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে আমাদের ডিউটি ও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। অনেকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে গিয়েছে। তবে প্রতিদিনই ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হচ্ছে।
এ বিষয়ে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের সাথে কথা বললে তারা জানান হঠাৎ করে বমি এবং বারবার টয়লেট করার কারণে শারীরিক দুর্বলতা দেখা দিলে আমি হাসপাতালে এসে ভর্তি হয়েছি। ডাক্তারদের চিকিৎসা এখন আমি কিছুটা সুস্থ আছি। রোগী আরো বলেন সরকারি হাসপাতাল হিসেবে আমরা যে সেবা পেয়েছি এতে আমরা অনেক খুশি।তবে রুগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় অনেকে ফ্লোরে চিকিৎসা নিতে দেখা গিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:৪৪:১৫ ১৬৭ বার পঠিত