স্বামী ও স্ত্রী পরস্পর মিলে বুদ্ধি করে প্রেমের ফাঁদে ফেলে টার্গেট ব্যক্তিকে বাসায় নিতেন স্ত্রী। এরপর নগ্ন ভিডিও করে সেগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল করার ভয় দেখিয়ে হাতিয়ে নিতেন টাকা। এমনই অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে পাবনা শহর থেকে অভিযুক্ত স্বামী ও স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
শনিবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পাবনার পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসী। এর আগে বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) মধ্যরাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন, পাবনা পৌর এলাকার রাধানগরের ময়দানপাড়া মহল্লার মোশারফ শেখের ছেলে শহরের ফজলুল হক রোডের মুক্ত টেইলার্সের মালিক মুন্না হোসেন ও তার স্ত্রী মুক্তা খাতুন।
এ সময় পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসী জানায়, যশোর থেকে পাবনা এসে পাটের ব্যবসা করতেন ইসমাইল। এরপর স্বামী স্ত্রী বুদ্ধি অনুযায়ী ফাঁদে পড়েন ইসমাইল নামের এক ব্যক্তি। পরবর্তীতে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বাসায় নিয়ে আসেন ইসমাইলকে। এরপর সে ও তার সহযোগী ৩-৪ জন জোরপূর্বক তাকে নগ্ন করে ছবি তুলেন এবং কিল ঘুষি, চড় থাপ্পড়, লাথি এমনকি কাঠের বাটাম দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথাড়ি মারধর করে।
পুলিশ সুপার আরও জানান, এক পর্যায়ে আসামিরা ইসমাইলকে প্রাণে মেরে ফেলার এবং নগ্ন ছবি ভাইরাল করার ভয়ভীতি দেখিয়ে ৫০ হাজার টাকা এবং বিকাশের মাধ্যমে আরও ৭৩ হাজার টাকা মোট ১ লাখ ২৩ হাজার টাকা আদায় করে এবং ভুক্তভোগীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। পরবর্তীতে ২০ হাজার টাকা না দিলে নগ্ন ছবি সামাজিক যোগাযোগে ভাইরাল করে দেয়ার হুমকি দেয়।
এর প্রেক্ষিতে ভুক্তভোগী ইসমাইল গত বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) ডিবি অফিসে অভিযোগ দিলে ডিবি পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে ওইদিনই জেট এল প্লাজায় অবস্থিত মুক্ত টেইলার্স থেকে তাদের গ্রেফতার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে নগদ টাকা ও দুইটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ-প্রশাসন) মাসুদ আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিয়াউর রহমান, ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোস্বামী, পাবনা ডিবির ওসি এমরান মাহমুদ তুহিন, ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ৪:০৮:৫৫ ১৬০ বার পঠিত