বর্তমানে বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে দেশের কৃষি চরম বিপর্যয়ের সম্মুখীন। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ২৮ ও ২৯ জাতের ধান থেকে কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া যাচ্ছে না। জমিতে মড়কে ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এতে কীভাবে ফসল রক্ষা হবে, তা নিয়ে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে কৃষকের কপালে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বন্যাপরবর্তী বছরে বোরো ধানের সোনালি আভায় কৃষকের মনে সুখের ঝিলিক দেয়ার কথা। অথচ মন ভালো নেই কৃষকের। বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার জন্য প্রান্তিক পর্যায়ে বিনামূল্যে দেয়া ২৮, ২৯ বিরি ধানসহ কয়েক জাতের বীজে এখন ফলশূন্য।
কৃষকরা বলেন, ধানে কোনো চাল নেই, শুধু শিষ। এটা আবাদ করে কোনো লাভ হয়নি। বিনামূল্যে রুপালি বীজে এনে ফসল ফলিয়েছিলাম, সব মরে গেছে। তবে কৃষি অফিসের কর্মকর্তাদের পরামর্শে ওষুধ স্প্রে করছি। দেখা যাক, কী হয়।
এমন পরিস্থিতিতে এই জাতের ধান হাওড়ে চাষ না করার এবং বীজ সংগ্রহে না রাখার নির্দেশ দেয় কৃষি বিভাগ। তার বিকল্প হিসেবে ৮৮, ৮৯, ৯২ ও বঙ্গবন্ধু ১০০ ধানের বীজ বেছে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তা।
সিলেট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ কাজী মজিবুর রহমান বলেন, যদি বিরি ২৮ আবাদ করেন; তা হলে এতে ব্লাস্টের (মড়ক) আক্রমণ হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে এমনটা হচ্ছে। এতে আপনাদের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। আগামীর জন্য তারা যে ২৮ আবাদ করেছেন, এর বীজ ঘরে না রাখার পরামর্শ দেন ওই কৃষি কর্মকর্তা।
চলতি বোরো মৌসুমে চার লাখ ৮৮ হাজার ১৬০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে চার লাখ ৯০ হাজার ৫৭৭ হেক্টরে বোরো আবাদ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১২:১০:০৮ ১৫৪ বার পঠিত