রবিবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৩

বিএনপি কোলা ব্যাঙের মতো আওয়াজ তুলছে : তথ্যমন্ত্রী

প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » বিএনপি কোলা ব্যাঙের মতো আওয়াজ তুলছে : তথ্যমন্ত্রী
রবিবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৩



বিএনপি কোলা ব্যাঙের মতো আওয়াজ তুলছে : তথ্যমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি দেখতে পাচ্ছে বিদেশিদের কাছে ধর্না দিয়ে ও হাত-পা মালিশ করে কোনো লাভ হয়নি। যারা ভরসা করেছিল তারাও দেখতে পাচ্ছে বিএনপির ওপর কোনো ভরসা নাই। এই পরিস্থিতিতে বিএনপি এখন হতাশাগ্রস্ত হয়ে কোলা ব্যাঙের মত আওয়াজ তুলছে মাত্র।

আজ রবিবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানজী পুকুর লেনের বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় ও সমসাময়িক বিষয়ে মতবিনিময় করেন তথ্যমন্ত্রী। ‘মিডিয়াকে ব্যবহার করে আওয়ামী লীগ সরকার বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে’ মির্জা ফখরুলের এমন অভিযোগের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল সাহেবদের বড় একটা গলা আছে, অন্য কোনো কিছু নেই। ব্যাঙ প্রাণী ছোট, কিন্তু আওয়াজটা খুব বড়। যখন বর্ষাকালে চারিদিক পানিতে ডুবে যায় তখন ব্যাঙ প্রচণ্ড আওয়াজ করে। আসলে বিএনপির অবস্থাও হয়েছে কোলা ব্যাঙের মতো।’

তিনি আরো বলেন, ‘দুঃখজনক হলেও সত্য জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই মিডিয়ার ব্যাপ্তি ঘটলেও আমরা সবসময় দেখতে পাই গণমাধ্যমে আজকে যে দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি সেটি সঠিকভাবে পরিস্ফুটিত হয় না। কোনো খারাপ সংবাদ হলে অনেক ক্ষেত্রে সেটি অনেক গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশিত হয় এটি সমীচীন নয় বলে আমি মনে করি।’

‘মির্জা ফখরুলের বক্তব্য মিডিয়ার ওপর আক্রমণ’ উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘আমি মনে করি মিডিয়ার ওপর আক্রমণ করা সমীচীন নয়। মির্জা ফখরুল প্রচণ্ড হতাশা থেকে এই কথাগুলো বলেছেন। আজকে বাংলাদেশে যেভাবে স্বস্তির ঈদযাত্রা হয়েছে, মানুষ যেভাবে স্বস্তিতে ঈদ উদযাপন করেছে বিশ্ব মন্দা পরিস্থিতির মধ্যে এটি সত্যিই উদাহরণ। একটু অস্বস্তি ছিল গরমের কারণে। এই গরমের কারণে বিএনপি নেতাদের মাথা খারাপ হয়েছে কিনা আমি জানি না।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে গণমাধ্যমের গাণিতিক বৃদ্ধি ঘটেছে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে। আমরা ২০০৯ সালে সরকার গঠনের সময় বাংলাদেশে সাড়ে চার শ দৈনিক পত্রিকা ছিল। এখন ১২৬০টির বেশি দৈনিক পত্রিকা প্রকাশিত হয়। ৯৬ সালে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পাবার পর প্রাইভেট টেলিভিশনের যাত্রাটাও শেখ হাসিনার হাত ধরেই হয়েছে। ২০০৯ সালে টেলিভিশন চ্যানেল ছিল ১০টি, এখন ৪৭টির লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে, এরমধ্যে ৩৬টি সম্প্রচারে আছে। লাইসেন্সপ্রাপ্তদের অনেকেই খুব সহসা সম্প্রচারে আসবে। এতগুলো টেলিভিশন চ্যানেল সেগুলোতে জার্নালিজম থেকে পাশ করে বের হওয়া আমাদের ছেলেমেয়েদের চাকরির একটা ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে আজকে সারা পৃথিবী প্রশংসা করছে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের। করোনা মহামারি মোকাবেলা করার ক্ষেত্রেও নিক্কি ইনস্টিটিউট এবং ব্লুমবার্গের যৌথ জরিপ বলছে, বাংলাদেশের অবস্থান পৃথিবীতে পঞ্চম এবং উপ-মহাদেশে প্রথম। করোনা মহামারির মধ্যে ২০২১ সালে আমাদের মাথাপিছু আয় ভারতকে ছাড়িয়েছে। সেটি নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানে প্রশংসা হয়েছে। এ নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের গণমাধ্যমে তাদের রাজনীতিবিদ ও ক্ষমতাসীনদের নিয়ে সমালোচনা হয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশে প্রশংসার ফুলঝুরি বয়ে যায়নি, এটিই বাস্তবতা।’

‘তথ্যমন্ত্রী ও ইতিপূর্বে দীর্ঘ সাত বছর দলের প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নিজের সংসারটা সাংবাদিকদের সাথেই’ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সারা পৃথিবীতে বিএনপির পেইড এজেন্ট আছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে তারা সারা পৃথিবী থেকে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তারা যে বিভিন্ন জনের কাছে এ কাজের জন্য টাকা পাঠান সেই অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফাঁস হয়েছে। কাকে কত টাকা দেওয়ার কথা ছিল, টাকা না দেওয়ায় সে গোস্বা করেছে। এগুলোতেও যখন কাজ হচ্ছে না তাই মিডিয়ার ওপর চড়াও হয়েছে বিএনপি। মিডিয়া চাইলেও সরকারের বিরুদ্ধে অনেকক্ষেত্রে খারাপ সংবাদ পাচ্ছে না বলে পরিবেশিত হচ্ছে না।’

এ সময় শিক্ষা উপমন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম চিশতি, কেন্দ্রীয় শ্রমিক লীগের সহসভাপতি সফর আলী উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১:২৭:০৭   ১৪৪ বার পঠিত