প্রতিবছর ঈদের ছুটিতে উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কে যানবাহনের অতিরিক্ত চাপের ফলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটের ভোগান্তি ছিল নিয়মিত ঘটনা। কিন্তু এবারের ঈদযাত্রা আগের সব হিসেব নিকেশ পাল্টে দিয়েছে। এবার ঈদযাত্রায় চিরচেনা যানজটের ভোগান্তি না থাকায় নির্বিঘ্নে ঈদে বাড়িতে যাওয়া এবং ঈদ শেষে আবার কর্মস্থলে ফিরতে পেরেছে উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ।
চালক ও যাত্রীরা বলছে, মহাসড়কের নির্মাণাধীন চার লেনের বিভিন্ন অংশ দেওয়ার পাশাপাশি পুলিশ প্রশাসনের তৎপরতার ফলেই এবার ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হয়েছে।
উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম সংযোগ মহাসড়ক। স্বাভাবিক সময়ে এই মহাসড়ক দিয়ে উত্তর ও দক্ষিণ বঙ্গের ২২ জেলার হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করলেও ঈদের আগে এই সংখ্যা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। ঈদে যানবাহনের অতিরিক্ত চাপের ফলে প্রতিবছরই যানজটে পড়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ভোগান্তি পোহাতে হয় এই পথে চলাচলকারী যাত্রী ও চালকদের।
তবে এবারের ঈদ যাত্রায় ছিল পুরো ভিন্ন চিত্র। মহাসড়কে যানবাহনের অতিরিক্ত চাপের ফলে ঈদের আগের দিন কিছুটা ধীরগতি থাকলেও ছিল আগের মতো যানজটের ভোগান্তি। চিরচেনা যানজটের ভোগান্তি না থাকায় স্বস্তিতেই ঈদে বাড়ি ফেরার পাশাপাশি ঈদ শেষে নির্বিঘ্নে কর্মস্থলে ফিরতে পারছে মানুষ।
চালক ও যাত্রীরা বলছে, বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাড় থেকে রংপুর পর্যন্ত নির্মাণাধীন দুই লেনের মহাসড়ককে চার লেনের উন্নিতকরণের কাজ শেষ না হলেও খুলে দেয়া হয়েছে বেশির ভাগ অংশ। সেই সঙ্গে মহাসড়কে পুলিশি তৎপরতা বৃদ্ধির ফলেই এই সুফল পেয়েছে তারা।
রোজার শুরু থেকে মহাসড়কের খানাখন্দসহ ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো আগে থেকে চিহ্নিত করে সংস্কার কাজ করায় এবারের ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন হয়েছে বলে জানান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হেগো মীর আকতার জেভির প্রজেক্ট ম্যানেজার
এখলাছ উদ্দিন।
আর পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মণ্ডল জানান, যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি যাত্রীদের নিরাপত্তায় জেলা পুলিশের পাশাপাশি বিভিন্ন বাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত টিম দিয়ে রাত দিন মহাসড়কে দায়িত্ব পালন করায় এবার স্বস্তির ঈদ যাত্রা সম্ভব হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাড় থেকে বগুড়ার মির্জাপুর পর্যন্ত দুই লেনের মহাসড়ককে চার লেনে উন্নিতকরণ প্রকল্প চলমান রয়েছে। যার নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৮০৫ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ১১:১৮:৪৭ ১১৯ বার পঠিত