পটুয়াখালী দশমিনার তেঁতুলিয়া নদীতে ট্রলারডুবির ঘটনায় আরও দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হলো। ট্রলারডুবির ঘটনায় এখনো ২ শিশু নিখোঁজ রয়েছে।
রোববার (৩০ এপ্রিল) সকাল ৭.৩০ মিনিটের সময় পটুয়াখালী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযান চালিয়ে উপজেলার বদনার চর নামক জায়াগায় বর রাব্বি হাওলাদার (২০) ও তার মা স্ত্রী সেলিনা আক্তারের (৪০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এর আগে শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় দশমিনা উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নের আউলিয়াপুর এলাকার বরযাত্রী নিয়ে তেঁতুলিয়া নদীতে ট্রলারে করে ১৪ জন যাত্রী নিয়ে নদী পর হওয়ার পথে অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই ট্রলারটি মাঝনদীতে বন্ধ হয়ে পানি উঠে ডুবে যায়। অনেকে সাঁতর কেটে বেঁচে ভেসে থেকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় বেঁচে ফিরলেও নারী ও শিশুসহ ৪ জন পানিতে ডুবে যান।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল এসে নদীতে তল্লাশি করেন। এতে আউলিয়াপুর এলাকার মনির হাওলাদারের ছেলে (বর) রাব্বি হাওলাদার (২০) ও তার মা স্ত্রী সেলিনা আক্তার (৪০), উত্তর রনগোপালদী এলাকার ধলু হাওলাদারের মেয়ে খাদিজা (৫) এবং উত্তর চর শাহজালাল এলাকার বেল্লাল মুন্সির মেয়ে মানসুরা (৮) নিখোঁজ হন।
শনিবার সকালে ডুবুরি দল নদীগর্ভে নিখোঁজ চারজনের খোঁজে দ্বিতীয় দফায় তল্লাশি শুরু করলে ডুবে যাওয়া ট্রলার উদ্ধার করে।
পটুয়াখালী নদী ফায়ার স্টেশন অফিসার রেজওয়ান বলেন, ট্রলারডুবির ঘটনার পর থেকেই আমরা নদীতে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছি। আজ সকালে বদনার চর নামক জায়গায় বর রাব্বি ও তার মায়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি দুটি শিশুর মরদেহ উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের উদ্ধার কার্যক্রম চলমান থাকবে।
দশমিনা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহেদী হাসান জানান, বরযাত্রীবাহী ট্রলারডুবির ঘটনায় বর রাব্বি ও তার মা সেলিনা আক্তারের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। মৃতের পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১:১২:০৫ ১৪২ বার পঠিত