প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা, স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত, সাবেক এমপি, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের ১৯তম শাহাদৎ বার্ষিকী বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে।
তার নিজ বাড়ি হায়দরাবাদ গ্রামে আজ শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের কবরে পরিবারের পক্ষ থেকে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এ উপলক্ষ্যে পবিত্র কোরআনখানি, কালো ব্যাচ ধারণ, স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের কবরে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল ও যুব ক্রীড়া সচিব ড. মহীউদ্দীন আহমেদ। এ সময় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উর্ধতন কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের পক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন মহাপরিচালক আজহারুল ইসলাম খান।
হায়দরাবাদ মাঠে আয়োজিত স্মরণসভায় বক্তৃতা করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, সাবেক মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এমপি, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি, শামসুন্নাহার ভূঁইয়া এমপি, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লাহ খান, সাধারণ সম্পাদক আতাউল্লাহ মন্ডলসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
অনুষ্ঠানের সভাপতি যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, গাজীপুরের মাটি মানুষের অত্যন্ত প্রিয় নেতা ছিলেন আমার পিতা শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার এমপি। তিনি ছিলেন শোষিত বঞ্চিত নিপীড়িত মানুষের একান্ত স্বজন। শ্রমজীবী মেহনতী মানুষের শেষ ঠিকানা। অথচ বিএনপি জামাতের খুনীরা প্রকাশ্য দিবালোকে ব্রাশফায়ার করে আমার পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। আমি আশা করি, অবিলম্বে এ পাশবিক হত্যার বিচার হবে। তাহলে বিএনপি জামাত যারা সবসময় খুনের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে তারা রাজনৈতিক হত্যাকান্ড সংঘটিত করার সাহস দেখাবে না। তিনি তার পিতার জন্য দোয়া করতে দেশবাসীর কাছে অনুরোধ জানান।
শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার গাজীপুর-২ (গাজীপুর সদর-টঙ্গী) আসন থেকে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে দুইবার সংসদ সদস্য, ১৯৯০ সালে গাজীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ১৯৮৩ ও ১৯৮৭ সালে দু’দফা পূবাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য, শিক্ষক সমিতিসহ বিভিন্ন সমাজ সেবামূলক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। আহসান উল্লাহ মাস্টার শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি ও সাধারণ সস্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
২০০৪ সালের ৭ মে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের মদদপুষ্ট একদল সন্ত্রাসী টঙ্গীর নোয়াগাঁও এমএ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্বেচ্ছাসেবক লীগের একটি কর্মীসভায় প্রকাশ্যে দিবালোকে আহসান উল্লাহ মাস্টারকে গুলি করে হত্যা করে।
বাংলাদেশ সময়: ২২:৩৯:০১ ১৪৬ বার পঠিত