চট্টগ্রামে ছুরিকাঘাতে মাসুম ও সবুজ নামে দুই যুবক খুনের ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ দেখে সাতজনকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৯ মে) নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, সোমবার রাত ৮টা ৮ মিনিটে কথিত শ্রমিক নেতা ইলিয়াসের অফিসে কিছু মানুষ জড়ো হন। তারপর হঠাৎ করেই মারামারি শুরু হয়।
সিএমপির উপপুলিশ কমিশনার মো. জসীম উদ্দীন বলেন, কথিত শ্রমিক নেতা ইলিয়াস এ ঘটনার মূল হোতা। এলাকায় বখাটে ছেলেদের নিয়ে কিশোর গ্যাংয়ের নেতৃত্ব দেন তিনি। ঘটনার সময়ও ইলিয়াস সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া কিলিং মিশনে অংশ নেন ইলিয়াসের অনুসারী কার্তিক, বিপ্লব, ফয়সাল ও শামীম। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত সাতজনকে আটক করেছে পুলিশ।
সিএমপি পাহাড়তলি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তারা সবাই কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে এ ঘটনায় সাতজনকে আটক করা হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডে মামলা প্রক্রিয়া।
এর আগে সোমবার (৮ মে) সন্ধ্যার পর সাগরিকা বিটাক মোড়ে দুই তরুণ বান্ধবীর সঙ্গে বসে গল্প করছিলেন। এ সময় স্থানীয় কিছু বখাটে তাদের উত্ত্যক্ত করেন। দুই তরুণ এর প্রতিবাদ করায় বখাটেরা হাতাহাতিতে জড়ান। একপর্যায়ে বখাটেরা মাসুম ও সবুজকে ছুরিকাঘাত করে। দুজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:০৭:১২ ১১৬ বার পঠিত