শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন কৃষকের অকৃত্রিম বন্ধু। তিনিই কৃষিবিদদের প্রথম শ্রেণির মর্যাদা দিয়ে গেছেন। কৃষিবিদরা আজ বিশেষ মর্যাদা লাভ করে দক্ষতার সাথে সবর্ত্র দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করছে।
আজ শনিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, ভারতের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. শৌভিক ভট্টাচার্য্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. গিয়াসউদ্দীন মিয়া প্রমুখ।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সুদূর প্রসারী ঐতিহাসিক কৃষি নীতি ও সে আলোকে বর্তমান সরকারের গৃহীত বাস্তবমুখী পদক্ষেপের ফলে কৃষিতে আজ বৈপ্লবিক পরিবর্তন সম্ভব হয়েছে। দেশরতœ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে।
সমাবর্তন বক্তা ভারতের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. শৌভিক ভট্টাচার্য্য গ্র্যাজুয়েটদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমরা চমৎকার মানবিক পূর্ণাঙ্গ মানুষ হয়ে বিশাল কর্মজীবনে প্রবেশ করে অসাম্প্রদায়িক চেতনার বিকাশ ঘটিয়ে দেশ ও জাতির মুখ উজ্জ্বল করবে। উন্নত শিক্ষাদান পদ্ধতি ও ফলপ্রসূ গবেষণার এক অনন্য প্রতিষ্ঠান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। এ সময় তিনি পরিবর্তনশীল বিশ্ব ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিজেদের সক্ষম করে গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
স্বাগত বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. গিয়াসউদ্দীন মিয়া গ্র্যাজুয়েটদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমরা দেশপ্রেম, মানবিক মূল্যবোধ ও সৃজনশীলতা দিয়ে নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে দেশের কল্যাণে কাজ করবে। এছাড়া উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে নিজেকে আত্মনিয়োগ করবে।
সমাবর্তনে দুই হাজার ৩২০ জন শিক্ষার্থীকে ডিগ্রি দেওয়া হয়। এরমধ্যে ৬০১ জন বিএস (কৃষি), ২৭৭ জন বিএস (ফিশারিজ), ২৩২ জন ডিভিএম, ৩৩৫ জন বিএস (কৃষি অর্থনীতি), ৮৪০ জন এমএস ও ৩৫ জন পিএইচডি শিক্ষার্থী।
বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২২:৪৮:৪০ ১৬৩ বার পঠিত