পাকিস্তানের গণতন্ত্র হুমকির মুখে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। শনিবার (১৩ মে) জামিন পেয়ে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
পাকিস্তানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আল-কাদির ট্রাস্ট মামলায় জামিন পেয়ে শনিবার লাহোর থেকে সবার উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন ইমরান খান। এ সময় তার ওপর হামলা, অপহরণ কায়দায় গ্রেফতার, পাকিস্তানের গণতন্ত্র সবকিছু নিয়ে কথা বলেন।
পাকিস্তানের গণতন্ত্র বর্তমানে হুমকির মুখে রয়েছে জানিয়ে নওয়াজ শরিফ পাকিস্তানের স্বাধীন বিচার বিভাগকে ধ্বংস করেছে অভিযোগ করেন ইমরান।
তিনি বলেন, বিচারব্যবস্থার ধ্বংস মানে দেশের গণতন্ত্র হুমকির মুখে পড়া। পিটিআই নেতা আরও বলেন, গত বছর সমাবেশে তাকে গুলির নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ।
একপর্যায়ে জেলে যাওয়া থেকে ঠেকানোয় বিচার বিভাগ ও পিটিআই সমর্থকদের ধন্যবাদ জানান ইমরান খান।
এদিকে রোববার (১৪ মে) বিকেলে ‘হাকিকি আজাদী’ আইন বাঁচাও, পাকিস্তান বাঁচাও লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে সবাইকে প্রতিবাদের ডাক দিয়েছেন পিটিআই নেতা।
এর আগে পিটিআই প্রধান ইমরান খান তার নিজের গ্রেফতার ও তার জেরে দেশজুড়ে সহিংসতার জন্য দেশটির সেনাপ্রধানকে দায়ী করেছেন।
নিরাপত্তা বাহিনী ইমরানের বিপক্ষে আর বিচার বিভাগ ইমরানের পক্ষে কি না, এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে পিটিআই চেয়ারম্যান বলেন, নিরাপত্তা বাহিনী নয়। একজন। তিনি হচ্ছেন-সেনাপ্রধান। সেনাবাহিনীতে কোনো গণতন্ত্র নেই। যা ঘটছে তাতে সেনাবাহিনীর মর্যাদাহানি হচ্ছে।
পিটিআই চেয়ারম্যান অভিযোগ করে বলেন, তিনি (সেনাপ্রধান আসিম মুনির) দুশ্চিন্তায় আছেন, আমি ক্ষমতায় গেলে তাকে বরখাস্ত করবো। আমি যে তা করব না, আমার দিক থেকে সেই বার্তা দেয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। যা ঘটছে, তা তার সরাসরি নির্দেশে ঘটছে। তিনি এই ভাষ্যে নিশ্চিত যে, আমি জিতলে আমি তাকে বরখাস্ত করবো।
বাংলাদেশ সময়: ১১:১০:১৯ ১১৭ বার পঠিত