সোমবার, ১৫ মে ২০২৩

‘বেশি লাভের আশায় অনেকে রাজউক অনুমোদিত ভবন নির্মাণ করে না’

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » ‘বেশি লাভের আশায় অনেকে রাজউক অনুমোদিত ভবন নির্মাণ করে না’
সোমবার, ১৫ মে ২০২৩



‘বেশি লাভের আশায় অনেকে রাজউক অনুমোদিত ভবন নির্মাণ করে না’

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, বেশি লাভের আশায় অনেক প্রতিষ্ঠান রাজউক অনুমোদিত পরিকল্পনা অনুযায়ী ভবন নির্মাণ করে না। নির্মাণকালীন কাজ তদারকির জন্য রাজউক কর্তৃপক্ষ নিয়োগ করতে পারে। সব নিয়ম যথাযথ পালন হয়েছিল কি না সেজন্য দায়ী থাকবে এ কর্তৃপক্ষ, তদারকি সাপেক্ষে তারা সনদ দেবে।

সোমবার (১৫ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত ‘ভূমিকম্প ঝুঁকিতে ঢাকা, গণমাধ্যমের করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশ ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চল, কিন্তু তার ইফেক্ট যেন না আসে সে ব্যবস্থা নিতে হবে। সেজন্য ভবন নির্মাণে প্রপার ডিজাইন করতে হবে। আবার সে ডিজাইন যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে কি না, সেটাও রেগুলেট করতে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের এখানে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে কাকে দায়ী করা হবে সেটা ফিক্সড করা যায় না। যেমন রানা প্লাজা যখন ভাঙলো, তখন তার মালিককে গ্রেপ্তার করা হলো, কিন্তু সেই ভবনের কনস্ট্রাকশন কোম্পানিকে ধরা হয়নি কেন?

মন্ত্রী বলেন, রাজউকের কাছে কেউ ডিজাইন নিয়ে গেলে সেটা অ্যাপ্রুভ করা হয়। মালিক চাইলে বিল্ডিং বানাতেই পারেন। কিন্তু আমার মতামত থাকবে, যে ভবন বানাবেন তিনি যেন সার্টিফাইড হন। যেন কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে তাকে দায়ী করা যায়।

তিনি আরও বলেন, প্রত্যেকটা ভূমিকম্পেরই ইফেক্ট অ্যান্ড পোস্ট ইফেক্ট আছে। সেজন্য প্রতিকার ব্যবস্থা রাখতে হবে। আমরা প্রতিবারই ভূমিকম্প প্রতিরোধী মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করার কথা বলি। কিন্তু ১২০ জন মানুষের জন্য যদি প্ল্যান করা হয়, সেখানে মানুষ থাকে তার চাইতেও অনেক বেশি। কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে উদ্ধার করা যায় না, প্লানের তুলনায় রাস্তা হয় অনেক সরু এবং ছোট।

মন্ত্রী বলেন, ভূমিকম্পের বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এর প্রভাব এবং প্রতিকার ব্যবস্থা নিয়ে যত বেশি লেখা হবে, ততো বেশি মানুষ তা জানতে পারবে।

সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজউকের চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিয়া। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ বুয়েটের অধ্যাপক মেহেদী আহমেদ আনসারী।

ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির সভাপতি মুরসালিন নোমানির সভাপতিত্বে সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সাবেক মহাপরিচালক আলী আহমদ খান, স্থপতি ইকবাল হাবিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক জুয়েল মিয়া।

বাংলাদেশ সময়: ১৬:৪০:১৪   ১০৬ বার পঠিত