মঙ্গলবার, ১৬ মে ২০২৩

পশুর হাটে ওত পাতা গরু চোরচক্রের ৮ সদস্য গ্রেফতার

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » পশুর হাটে ওত পাতা গরু চোরচক্রের ৮ সদস্য গ্রেফতার
মঙ্গলবার, ১৬ মে ২০২৩



পশুর হাটে ওত পাতা গরু চোরচক্রের ৮ সদস্য গ্রেফতার

রাজধানীর পশুর হাটগুলোতে ওত পেতে থাকে গরু চোরচক্রের সদস্যরা। এ চক্রের সঙ্গে কসাইরাও জড়িত। অগ্রিম টাকা নিয়ে চুরি করা গরু তারা তুলে দেন কসাইদের কাছে। সম্প্রতি রাজধানীতে অভিযান চালিয়ে এমন একটি চক্রের আট সদস্যকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

এ ব্যাপারে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. হারুন অর রশিদ সময় সংবাদকে বলেন, ঈদ সামনে রেখে রাজধানীতে এ ধরনের চোরচক্র সক্রিয় হয়ে ওঠে।

জানা যায়, গ্রেফতারকৃতরা কেউ পিকআপ ভ্যানের ড্রাইভার, কেউ শাড়ির দোকানে কাজ করেন। এর বাইরেও তাদের রয়েছে আলাদা পরিচয়। লোভে পড়ে বা নেশার টাকা জোগাড়ে সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন তারা বের হন চুরি করতে। তারা সবাই গরু চোর। দলনেতার নাম জাকির। সারা বছর গরু চুরি করলেও ঈদ আসলেই তারা হয়ে ওঠেন বেপরোয়া।

দলনেতা জাকিরের সঙ্গে চুরির কাজে সহায়তা করেন ১৫ থেকে ১৬ জন। বেশির ভাগই গরু চুরিতে সিদ্ধহস্ত ৮ থেকে ১০ বছর ধরে। জাকির গরু চুরি করে রাজধানীতে বানিয়েছে একাধিক বাড়ি। এমন তথ্য পেয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের লালবাগ বিভাগ এ চক্রের আটজনকে গ্রেফতার করেছে।

পুলিশ জানায়, রাজধানীর বিভিন্ন হাটে অবস্থান করে গরুর মালিককে নজরে রাখেন তারা। মালিক কোথাও যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দলের অন্য সদস্যদের ফোনে খবর দিলে একজন গরু নিয়ে সটকে পড়েন। সঙ্গে রাখেন নিজেদের বানানো রসিদও। পরে চুরি করা গরু তারা বিক্রি করে দেন কসাইদের কাছে। সঙ্গে সঙ্গেই কয়েক মিনিটের মধ্যেই জবাই করে তা বিক্রি করা হয় বাজারে। কসাইদের সঙ্গে তাদের রয়েছে গোপন আঁতাত।

গরু চোর জাকির স্বীকারোক্তিতে জানান, মালিকরা যখন তাদের গরু হাটে বেঁধে রেখে এদিক-ওদিক যায় তখন সেটি নিয়ে আমার লোকজন সটকে পড়েন। এরপর গাড়ি তোলা হয়। গাড়িতে তোলার পর কসাই বা কাস্টমারের কাছে গরু বিক্রি করে দেয়া হয়।

গরু চোর গাড়ির চালক জানান, গাড়ি নিয়ে আমি দূরে বসে থাকি; এরপর তারা আমাকে ফোন দেয় গরু নিয়ে আসা হচ্ছে। সেটি গাড়িতে তুলে নিও; এরপর নিয়ে গিয়ে বিক্রি করে দেয়া হয়।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. হারুন অর রশিদ বলেন, ঢাকা শহরে অনেক কসাইয়ের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ রয়েছে। এই কসাইরাও তাদের কাছে আগাম টাকা দিয়ে থাকেন। গরুর দাম যদি থাকে এক থেকে দেড় লাখ টাকা; তারা দিয়ে রাখেন ৭৫ হাজার টাকার মতো। যার কারণে এই চোরচক্ররা কসাইদের গরু সরবরাহ করে থাকেন। এই গরুটা কোথা থেকে আসল, সেটা কসাই বা মার্কেট সমিতির কেউ যাচাই করেন না। এ ঘটনায় ৮ জনকে ধরা হয়েছে। কীভাবে চুরিটা করে সেটি তারা স্বীকার করেছেন। এবার পশুর হাটে চোরচক্রের অপতৎপরতা ঠেকাতে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ।

বাংলাদেশ সময়: ১১:১৫:০৭   ১১০ বার পঠিত