দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বলেছেন, দুর্যোগ ব্যবস্থানা কার্যক্রমে বিশ্বে বাংলাদেশ রোলমডেল হয়ে উঠেছে। গত ৭ বছর জাতীয় বাজেটের ৮ দশমিক ৮ শতাংশ দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস খাতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। চতুর্থ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় বরাদ্দের পরিমাণ ১১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
ডা. এনামুর রহমান বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে দু’দিনব্যাপী দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস সম্পর্কিত এক উচ্চ পর্যায়ের আন্তর্জাতিক বৈঠকে এ কথা বলেন।
আজ ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৈঠকে ডা: এনামুর রহমান টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকারের নিরলসভাবে কাজ করে যাওয়ার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরেন।
আন্তর্জাতিক এই বৈঠকের প্রথম দিন প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে নিজেদের অর্জন, চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যত প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেন। দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে বিনিয়োগকে তিনি ব্যয় হিসেবে মনে করেন না বলেও উল্লেখ করেন।
এনামুর রহমান বলেন, ‘দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস কৌশলটি দুর্যোগ সংক্রান্ত স্থায়ী আদেশ এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার জন্য জাতীয় পরিকল্পনা ২০২১-’২৫ এ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ২০২১ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত চতুর্থ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় জাতীয় বাজেটের প্রায় ৯ থেকে ১১ শতাংশ দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে বরাদ্দ করা হয়।
করোনা মহামারির ভেতর বাংলাদেশ ২০২০ সালে পাঁচবার বন্যা ও ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের মতো দুর্যোগ দক্ষতার সঙ্গে সামাল দিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, দুর্যোগে প্রাণহানি একক সংখ্যায় নেমে এসেছে। ২০০৫ থেকে ২০১৫ সালের তুলনায় ২০১৬ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা এবং বাসস্থানের ক্ষয়ক্ষতি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭:৪৫:৩৩ ১৩০ বার পঠিত