বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ৭৬তম বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি তাইওয়ানকে। চীন ও পাকিস্তানের বিরোধিতার কারণেই এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করতে পারছে না তাইপে। তবে দেশটির দাবি, বিশ্বজুড়েই তাদের প্রতি সমর্থন বাড়ছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২১ মে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় শুরু হওয়া এ সম্মেলন চলবে ৩০ মে পর্যন্ত। করোনা মহামারির ভয়াবহতা কাটিয়ে ওঠার তিন বছর পর এবারই বড় পরিসরে হচ্ছে সম্মেলনটি। এবারের প্রতিপাদ্য হলো ‘সবার জন্য স্বাস্থ্য’।
আটকে গেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) বার্ষিক সম্মেলনে তাইওয়ানের অংশগ্রহণ। চেষ্টা করেও চীন এবং পাকিস্তানের বিরোধিতার কারণে ডব্লিউএইচও-এর ৭৬তম সম্মেলনে যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ পেলো না স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলটি। অবশ্য তাইপের দাবি সমাবেশটিতে তাদের অংশগ্রহণের জন্য সমর্থন বাড়ছে বিভিন্ন দেশের। তবে দ্বীপ অঞ্চলটির অংশগ্রহণের পক্ষে কথা বলেছে ইসওয়াতিনি ও মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ।
এদিকে, তাইওয়ান ডব্লিউএইচও-এর সম্মেলনে তাইওয়ানের অংশগ্রহণকে বাধাগ্রস্ত করার চীনা সিদ্ধান্তের নিন্দা করে বলেছে যে এটি ‘অপমানজনক’ একটি কাজ। বৈশ্বিক কোনো সংস্থায় তাইওয়ানের অংশগ্রহণে বাধা দেওয়া এবং তাদের হয়ে কথা বলার কোনো অধিকার চীনের নেই।
তাইওয়ানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘শুধু তাইওয়ানের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারই ডব্লিউএইচও এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থায় তাইওয়ানের ২ কোটি ৩০ লাখ মানুষের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে এবং তাইওয়ানের জনগণের স্বাস্থ্য ও মানবাধিকার রক্ষা করতে পারে।’
তবে বরাবরই তাইওয়ানকে নিজেদের বলে দাবি করে আসছে চীন। যদিও নিজেদের স্বশাসিত হিসেবে দাবি করে তাইপে প্রশাসন। সম্প্রতি জাপানের হিরোশিমায় আয়োজিত জি-৭ সম্মেলনে তাইওয়ান প্রসঙ্গে চীনের নিন্দা জানায় জোটটি। তবে এ নিন্দার জবাবে এসব বিষয়কে নিজেদের অভ্যন্তরীণ অভিহিত করে জোটটি ‘ভুয়া অপবাদ’ দিচ্ছে বলে অভিযোগ করে শি জিন পিং প্রশাসন।
বাংলাদেশ সময়: ১২:০৫:০২ ১১৭ বার পঠিত