নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম খ্রিষ্টান, হিন্দু, ও মুসলমানের কবি ছিলেন না, তিনি ছিলেন মানবতার কবি।
কবি নজরুল মানবতার কথা বলে গেছেন উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন,‘তাঁর (নজরুলের) সাহিত্যের মধ্যে আমরা সবকিছু পাই’। তাঁর প্রতিভা উপলব্ধি করতে হলে তাঁর সৃষ্টিকে প্রত্যক্ষ করতে হবে।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী আজ বৃহস্পতিবার ময়মনসিংহের ত্রিশালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘গাহি সাম্যের গান’ মঞ্চে ১২৪তম নজরুল জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে নজরুল’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দক্ষ কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় ১৯৭২ সনের ২৪ মে কবি নজরুলকে স্বাধীন বাংলাদেশে আনা হয়। বঙ্গবন্ধু তাঁকে রষ্ট্রীয় মর্যাদা দেন।
‘বঙ্গবন্ধু কবি নজরুলকে ধারণ করে আমাদের মুক্তির চেতনায় স্থান দিয়েছিলেন’ উল্লেখ করে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সাহিত্যের মধ্যদিয়ে একটি জাতিকে কিভাবে জাগ্রত করা যায় সেটি নজরুলের সাহিত্য কর্মে ফুটে উঠেছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলের চাওয়া পাওয়াকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু। রবীন্দ্রনাথের ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি’কে জাতীয় সংগীত এবং নজরুলের ‘চল চল চল ঊর্দ্ধ গগনে বাজে মাদল’কে রণসংগীত হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে তাদেরকে সম্মানিত করেছেন বঙ্গবন্ধু।
তিনি বলেন, নজরুলের সাহিত্য চর্চাকে ছড়িয়ে দিয়ে তার প্রতি সম্মান দিতে হলে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখরের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিকাশ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. আহমেদুল বারী এবং রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীরও বক্তৃতা করেন।
অনুষ্ঠান শুরুর আগে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের প্রতকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পণের মাধ্যমে তাঁদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২:৪৪:২০ ১৪৭ বার পঠিত