কক্সবাজারের ব্লু-ইকোনমি (সমুদ্র সম্পদনির্ভর অর্থনীতি) হাব (কেন্দ্র) হওয়ার বৈশিষ্ট্য আছে বলে মত প্রকাশ করেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী।
আজ সোমবার সচিবালয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত চিংড়ি মহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এই মতামত ব্যক্ত করেন। এই সময় ভূমি সচিব মোঃ খলিলুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
ভূমিমন্ত্রী আরও মত প্রকাশ যে, কক্সবাজারে সীফুড কেন্দ্রিক অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করা সম্ভব হলে হিমায়িত ও জীবন্ত মাছ, চিংড়ি এবং অন্যান্য সী-ফুড রপ্তানি আরও গতি লাভ করবে। এছাড়া, কক্সবাজার সদর, মহেশখালী, টেকনাফ সহ কক্সবাজারের বিভিন্ন উপজেলায় চলমান মেগাপ্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন শেষ হলে তা কেবল কক্সবাজার নয়, পুরো বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলেও মন্ত্রী মনে করেন।
মন্ত্রী বলেন সুনীল অর্থনীতিতে কক্সবাজারের সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখেই সরকার সেখানে ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট স্থাপন করে। তিনি যোগ করেন, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র রক্ষায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েই সরকার উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করে; এই ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনা আছে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে ব্লু-ইকোনমি তথা সুনীল অর্থনীতি বাস্তবায়নের বিষয়টি সরকার গুরুত্বসহকারে বিবেচনায় নিয়ে মুখ্য সচিবের সভাপতিত্বে গঠন করেছে ‘সমুদ্র সম্পদ আহরণ ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সমন্বয় কমিটি’। ইতোমধ্যে সরকার ব্লু-ইকোনমি বাস্তবায়নে বিবিধ পরিকল্পনাও গ্রহণ করেছে।
এই সময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সংসদ সদস্য জাফর আলম, কক্সবাজার-২ (কুতুবদিয়া-মহেশখালী) আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মোঃ জিল্লুর রহমান চৌধুরী সহ ভূমি মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং জেলা পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ও চিংড়ি চাষে সংশ্লিষ্ট অংশীজন।
বাংলাদেশ সময়: ২২:৩২:৫৬ ১২৭ বার পঠিত