অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, সরকার সারাদেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় বাড়াতে চায়। তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, যখন সব অর্থনৈতিক অঞ্চল চালু হবে, তখন দেশ থেকে ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমতুল্য পণ্যের অতিরিক্ত রপ্তানি হবে।’ আজ জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৭.৬১ লাখ কোটি টাকার জাতীয় বাজেট পেশকালে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন।
কামাল বলেন, সরকার দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ এবং এক কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের জন্য ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কাজ করছে। তিনি বলেন, ‘অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলিতে কন্টকমুক্ত জমি, উন্নত অবকাঠামো, নিরবচ্ছিন্ন ইউটিলিটি, আর্থিক প্রণোদনা এবং সহজ ব্যবসায়িক প্রক্রিয়াগুলোর মতো সুয়োগ-সুবিধা ওয়ান-স্টপ পরিষেবা কেন্দ্্েরর মাধ্যমে সরবরাহ করা হয়। আমদানি-রপ্তানি প্রক্রিয়া সহজ করার জন্য ইতিমধ্যে অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলিতে শুল্ক অফিস স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, এ পর্যন্ত ৯৭টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ২৯টি জোনে ১৮৭টি প্রতিষ্ঠানকে জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ৩৮টি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হয়েছে এবং ৭০টি নির্মাণাধীন রয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘মোট বিনিয়োগ ইতিমধ্যে ২৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরী ৩৩ হাজার একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে, যেট হবে- দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম শিল্প নগরী।’
এছাড়া তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও জাপান সরকারের অংশীদারিত্বে জাপান ইকোনমিক জোন তৈরি করা হচ্ছে এবং ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে ৮৫৬ একর জমিতে একটি ভারতীয় অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের কাজ চলছে। চট্টগ্রামের আনোয়ারায় ৭৮৩ একর জমিতে চাইনিজ ইকোনমিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোন স্থাপনের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯:০১:৫২ ১১১ বার পঠিত