শনিবার, ১০ জুন ২০২৩

বাংলাদেশ-ভিয়েতনামের কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » বাংলাদেশ-ভিয়েতনামের কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন
শনিবার, ১০ জুন ২০২৩



বাংলাদেশ-ভিয়েতনামের কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন

বাংলাদেশ-ভিয়েতনাম কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী যথাযোগ্য মর্যাদা ও বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উদযাপন করেছে হ্যানয়ের বাংলাদেশ দূতাবাস।

শুক্রবার (৯ জুন) ভিয়েতনাম রাজধানী হ্যানয়ে স্বাধীনতা এবং কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করে বাংলাদেশ দূতাবাস।

দূতাবাস জানায়, দিবসটি উপলক্ষ্যে হ্যানয়ের একটি হোটেলে উভয় দেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনা, আলোচনা, আলোকচিত্র ও ডকুমেন্টরি প্রদর্শন ও নৈশভোজের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভিয়েতনামের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডু হাং ভিয়েত। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভিয়েতনামের জাতীয় এসেম্বলির সদস্য লে থু হা।

স্বাগত বক্তব্যে ভিয়েতনামে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সুখী, সমৃদ্ধ ও স্বাধীন ‘সোনার বাংলাদেশ’ গড়ার। বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথ ধরে তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ তার স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথ অনুসরণ করে তার কন্যা দেশকে অগ্রগতি ও উন্নয়নের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। গত ১৪ বছরে টেকসই উচ্চ প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বিনিয়োগ বান্ধব নীতি, বিশাল অভ্যন্তরীণ বাজার, কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূ-রাজনৈতিক অবস্থান, রাজনৈতিক স্থিতিশৗলতা এবং কঠোর পরিশ্রমী দক্ষ জনগণ বাংলাদেশকে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশে পরিণত হয়েছে।

রাষ্ট্রদূত নাজ বাংলাদেশ-ভিয়েতনামের শক্তিশালী কূটনৈতিক সম্পর্কের জন্য হ্যানয়ের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, গত পাঁচ দশক বাংলাদেশ ও ভিয়েতনাম উষ্ণ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছে, যা ভবিষ্যতে আরও গভীর ও শক্তিশালী করতে হবে। এই জন্য উভয় দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, মানবসম্পদ উন্নয়ন, কৃষি, মিঠা পানির মৎস্যসম্পদ, ওষুধ, আইসিটি, সংযোগ, সরাসরি বিমান যোগাযোগ, পর্যটন, বৌদ্ধ পর্যটনসহ বিভিন্ন খাতে একসঙ্গে কাজ করার অপার সম্ভাবনা রয়েছে।

আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিকভাবে পারস্পারিক সুবিধার জন্য সংস্কৃতি ও খেলাধুলা, দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা, ব্লু ইকোনমি, জলবায়ু পরিবর্তন, অভিবাসন, নারীর ক্ষমতায়ন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রম, পারস্পারিক সহায়তা, বহুপাক্ষিক সহযোগিতাসহ বহু দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার কথা উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত।

রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ দূতাবাস, বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামে মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়ন এবং দু’দেশের মধ্যে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সংকট এবং কোভিড মহামারির সময়ও দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য প্রথমবারের মত ২০২১ সালে ১.৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২০২২ সালে ১.৪৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে, যা ১ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে।

তিনি বলেন, ২০১৭ সালে আমি রাষ্ট্রদূত হিসেবে যোগদানকালে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ছিল ৭০০ মিলিয়ন ডলার যা গত ছয় বছরে দ্বিগুণ হয়েছে এবং আগামীতে এ লক্ষ্যমাত্র ২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে বলে আশা করছি।

রাষ্ট্রদূত আগামী ৫০ বছরে এবং তারপরেও দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার বন্ধন আরও জোরদার করার আহ্বান জানান।

ভিয়েতনামের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু আজকের নতুন প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা যোগাবে। উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪:৩৭:৫০   ১০৯ বার পঠিত