সোমবার, ১২ জুন ২০২৩

‘ভবিষ্যত প্রজন্মকে গ্রন্থপাঠে উদ্বুদ্ধকরণে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক সংলাপ

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » ‘ভবিষ্যত প্রজন্মকে গ্রন্থপাঠে উদ্বুদ্ধকরণে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক সংলাপ
সোমবার, ১২ জুন ২০২৩



‘ভবিষ্যত প্রজন্মকে গ্রন্থপাঠে উদ্বুদ্ধকরণে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক সংলাপ

‘ভবিষ্যত প্রজন্মকে গ্রন্থপাঠে উদ্বুদ্ধকরণে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক এক সংলাপ আজ জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র পরিচালনা বোর্ডের সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের আযোজনে অনুষ্ঠিত সংলাপে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক মিনার মনসুর। এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা‘র (বাসস) পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। বিশেষ অতিথি ছিলেন গনগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: আবুবকর সিদ্দিক। প্যানেল আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল, ঢাকা প্রকাশের সম্পাদক ও প্রকাশক মোস্তফা কামাল এবং এখন টিভির সম্পাদকীয় প্রধান তুষার আবদুল্লাহ।
সংলাপে অংশগ্রহনকারি অন্যেরা হলেন- মারুফ রায়হান, ফরিদ কবির, আলিমÑউজ জামান , আসিফুর রহমান সাগর , ওবায়েদ আকাশ, ড. শিহাব শাহরিয়ার, স্বকৃত নোমান, কুদ্দুস আফ্রাদ, ইমরান মাহফুজ প্রমুখ। বিভিন্ন পাঠাগারের উদ্যোক্তারাও সংলাপে অংশ গ্রহন করেন। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের উপপরিচালক মো: ফরিদ উদ্দিন সরকার।
আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, শিক্ষার সাথে বইয়ের সম্পর্ক অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। তাই ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বইয়ের সাথেই সংযোগ ঘটাতে হবে এবং তা প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকেই শুরু করতে হবে। তিনি শিক্ষা কারিকুলামেই বই পড়ার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করার উপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা অনেক কিছু গোড়াতেই করি না। কেবল আগায় পানি ঢালি। গোড়াতে সার দিতে হবে, পানি দিতে হবে। তবেই আশানুরূপ ফল পাওয়া যাবে। পাবলিক লাইব্রেরীর কনসেপ্ট এর দিকে নজর দিতে হবে এবং জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র সকল গণমাধ্যমের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে ধারাবাহিক কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারে।’ ভবিষ্যত প্রজন্মকে বইয়ের সাথে কিভাবে সেতুবন্ধন করানো যায়, তা নিয়ে চিন্তা ভাবনা করার কথাও বলেন তিনি।
পাঠককে জ্ঞানভান্ডারের দিকে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে গণমাধ্যমই ভালো ভূমিকা রাখতে পারে উল্লেখ করে মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল বলেন, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এবং পাঠাগারকে একসঙ্গে যুক্ত করার পাশাপাশি নীতি নির্ধারকদের নিয়ে আলোচনায় বসতে হবে। তিনি বলেন, বইমেলাকে ঘিরে গবেষনামূলক রিপোর্টিং প্রয়োজন। যাতে বইয়ের প্রতি পাঠকের আগ্রহ বাড়ে এবং তা হতে হবে ইতিবাচক। এ ব্যাপারে বইসংক্রান্ত তথ্যকেন্দ্র স্থাপন করারও পরামর্শ দেন তিনি।
মিনার মনসুর বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পর সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান হলো পরিবার। সেই পরিবারগুলোর একটি বৃহৎ অংশ বই ও সংস্কৃতি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। সন্তানকে প্রকৃত মানুষ করার পরিবর্তে তারাও এখন ভালো রেজাল্ট ও ভালো চাকুরিকেই সন্তানের জন্য মোক্ষ জ্ঞান মনে করছেন। এখানে বড়ধরণের ঝাকুনি দরকার। আলোচকবৃন্দ ভালো মানের বইয়ের উপরও গুরুত্বারোপ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ২২:১৭:৫৫   ১২০ বার পঠিত