ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে গরু মোটাতাজা করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন দিনাজপুরের খামারিরা। সম্পূর্ণ দেশীয় খাবারের ওপর নির্ভর করে কোরবানির পশু লালনপালন করা হচ্ছে। বাজারমূল্য ঠিক ও অবৈধ গরু ভারত থেকে না এলে এবারও লাভবান হওয়ার আশা খামারিদের।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে জেলার প্রতিটি উপজেলায় অসংখ্য ছোট-বড় খামার গড়ে উঠেছে। ব্যাপকভাবে দেশি গরু মোটাতাজা করা হয়েছে প্রাকৃতিক উপায়ে। সবুজ ঘাস, খড়, নানা ধরনের ভুসি, চকর, ভাত, খৈল ও ভিটামিন খাইয়ে গরু মোটাতাজা করছেন খামারিরা। তবে গো-খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় গরু কোরবানি লালন পালন করতে ব্যয় অনেক বেড়েছে। ১৩ উপজেলার ছোট-বড় মিলে ৬৬টি হাট বসে। প্রচুর পরিমাণে এসব হাটে পশু কেনাবেচা হয়। ইতিমধ্যে হাটগুলোতে গরু বেচাকেনা শুরু হয়েছে। খামারিদের আশা, অবৈধ পথে ভারত থেকে গরু না এলে লাভবান হবেন।
প্রাণিসম্পদ বিভাগের তত্ত্বাবধানে এবং পরামর্শে খামারিরা সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজা করছেন দাবি জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার মো. আলতাফ হোসেন।
জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের তথ্যমতে, দিনাজপুরে এবার দুই লাখ ৫৯ হাজার ১৩৮টি পশু মোটাতাজাকরণ করা হয়েছে। তবে জেলার চাহিদা রয়েছে দুই লাখ ৩০ হাজার ৫০২টির। উদ্বৃত্ত ২৮ হাজার ৬৩৬ পশু।
বাংলাদেশ সময়: ১৩:৩৭:৩৫ ১৪২ বার পঠিত