ফিলিস্তিনি নেতা মাহমুদ আব্বাস মঙ্গলবার বেইজিং পৌঁছেছেন। রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি শান্তি আলোচনা সহজতর করতে সহায়তা করার জন্য তারা প্রস্তুত রয়েছে চীন। খবর এএফপি’র।
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটিতে এটি আবাসের পঞ্চম সরকারি সফর এবং তিনি শুক্রবার পর্যন্ত সেখানে থাকবেন বলে বেইজিং জানিয়েছে।
ফিলিস্তিনের সরকারি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, সফরকালে আব্বাস প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন। দুজনের মধ্যে ফিলিস্তিন ইস্যু নিয়ে সর্বশেষ পরিস্থিতির পাশাপাশি আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে পারস্পরিক উদ্বেগের বিষয় নিয়ে মত বিনিময় হবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সঙ্গেও আব্বাস বৈঠক করবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন গত সপ্তাহে বলেন, দীর্ঘদিনের ফিলিস্তিনি নেতা ‘চীনা জনগণের একজন পুরানো এবং ভালো বন্ধু। চীন সব সময় দৃঢ়ভাবে ফিলিস্তিনি জনগণের বৈধ জাতীয় অধিকার পুনরুদ্ধারের ন্যায়সঙ্গত কারণকে সমর্থন করেছে।’
দীর্ঘস্থায়ী মার্কিন প্রভাবকে চ্যালেঞ্জ করে বেইজিং মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে তার সম্পর্ক জোরদার করার চেষ্টা চালিয়ে আসছে। বেইজিংয়ের এই প্রচেষ্টা ওয়াশিংটনে অস্বস্তি সৃষ্টি করেছে।
প্রেসিডেন্ট শি গত ডিসেম্বরে একটি আরব আউটরিচ ট্রিপে সৌদি আরব সফর করেন। সেখানে আব্বাসের সঙ্গে তার বৈঠক হলে তিনি ফিলিস্তিন সমস্যার একটি দ্রুত, ন্যায্য ও টেকসই সমাধানের জন্য কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
গত সপ্তাহে রিয়াদ সফরকালে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন দীর্ঘদিনের মিত্রের সঙ্গে উত্তেজনার পরে একটি সমঝোতামূলক সুরে বলেন, সৌদি আরবকে ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে যে কাউকে বেছে নিতে বাধ্য করা হচ্ছে না।
এই সপ্তাহে প্রকাশিত চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা আব্বাস জাকি বলেছেন, চীন ও ফিলিস্তিনিরা ‘ভাইয়ের চেয়েও ঘনিষ্ঠ বন্ধু’।
তিনি আরও বলেন, গত বছর চীন-আরব রাষ্টু সম্মেলনের পর চীন মধ্যপ্রাচ্যের বিষয়ে আরও বেশি সম্পৃক্ত হয়েছে দেখে আমি খুবই আনন্দিত।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:৪৯:৫৭ ১১১ বার পঠিত