হ্যালো সুপারস্টার’স প্রথম এবং এখন পর্যন্ত একমাত্র অ্যাপ যা সারা বিশ্বের পেশাজীবি ও শ্রমজীবি মানুষের সঙ্গে বিভিন্ন অঙ্গনের তারকাদের সরাসরি সংযোগ ও কথা বলার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হিসেবে কাজ করবে। তারকা ও তাদের ফ্যান ফলোয়ারদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের সেতু বন্ধন হিসেবে কাজ করবে হ্যালো সুপারস্টার’স।
বাংলাদেশের পতাকাকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আরও সুদৃঢ় করতে ড. কামরুল আহসান এই অ্যাপটি যুক্তরাজ্য ভিত্তিক টেকনোলজি কোম্পানীর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা করেছেন। এরই মাঝে অ্যাপটির কার্যক্রম যুক্তরাজ্য মধ্যপ্রাচ্য, মালয়েশিয়া, ভারত, শ্রীলংকায় শুরু হয়েছে। এবার শুরু হবে বাংলাদেশে।
হ্যালো সুপারস্টার’স অ্যাপের অন্যতম প্রধান চমক হিসেবে থাকবে প্রতিভা অন্বেষণ কার্যক্রম। যার মধ্যে থাকবে, সংগীত, অভিনয়, খেলাধুলা ইত্যাদি।
ই-অডিশনের মাধ্যমে প্রতিভাবান কণ্ঠশিল্পীদের খুঁজে বের করার কার্যক্রম দিয়েই বাংলাদেশে অ্যাপটির যাত্রা শুরু হবে। সম্পূর্ণ ব্যাতিক্রম ও সারা বিশ্বেই এই ধরনের কার্যক্রম প্রথম। বিশ্বের বাংলা ভাষাভাষীদের মধ্য থেকে খুঁজে বের করা হবে সেরা প্রতিভাকে। যিনি পাবেন ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার। রানার্স আপ পাবেন ১০ লাখ টাকা, দ্বিতীয় রানার্স আপ পাবেন ৫ লাখ টাকা।
সেরা দশের বাকী ৭ জন পাবেন ২ লাখ টাকা মূল্যের অর্থ পুরস্কার। প্রতিযোগিতার সেরা কণ্ঠশিল্পী দেশ বিদেশের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পীদের সঙ্গে দ্বৈত গান গাওয়ার সুযোগ পাবেন। নির্বাচিত সেরা কণ্ঠশিল্পীদের জন্য প্লেব্যাক এবং বিভিন্ন মাধ্যমে গান পাওয়ার সুযোগও থাকবে। জমকালো আয়োজনের মাধ্যমে এই প্রতিযোগিতার সেরার হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হবে।
হ্যালো সুপারষ্টার’স অ্যাপের মাধ্যমে সর্বমোট ৮টি স্তরে নির্বাচিত হবেন সেরা কণ্ঠশিল্পী। শুরুতেই প্রতিযোগিতায় আগ্রহীরা খালি গলায় ৪০ সেকেন্ডের মধ্যে গাওয়া যে কোন ধরনের গান নিজের মোবাইলে ধারণ করে অ্যাপে আপলোড করবেন। জুরিবোর্ড সদস্যরা সেই সব গান শুনে বিচার বিশ্লেষন করে দ্বিতীয় রাউন্ডের জন্য প্রতিযোগিদের নির্বাচিত করবেন।
এভাবে একটির পর একটি রাউন্ড শেষে সুপার জাজরা যুক্ত হবেন এবং লাইভ সেশন শুরু হবে। যেখানে প্রতিযোগিরা ভার্চুয়ালি লাইভ গান শোনাবেন সুপার জাজদের। সুপার জাজ হিসেবে অ্যাপটির সঙ্গে যুক্ত আছেন রুনা লায়লা, কুমার সানু, বিনোদ রাঠোর এবং আসিফ আকবর। আর জুরিবোর্ডে থাকবেন দেশের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী, গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালকরা।
প্রতিযোগিদের এই আয়োজনে অংশ নেয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে হ্যালো সুপারস্টার’স অ্যাপের প্রি- লঞ্চিং হয়েছিল দুবাইয়ের শারজাহ্ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ২০২১ সালের ১৮ ডিসেম্বর, প্রায় ৩৫ হাজার দর্শকের উপস্থিতিতে। এ বছরের ৩০ এপ্রিল মালয়েশিয়ায় আয়োজন করা হয়েছিল গ্রান্ড লঞ্চিংয়ের, যেখানে প্রায় দশ হাজার দর্শকের উপস্থিতিতে রুনা লায়লা, আলমগীর, কুমার সানু, বিনোদ রাঠোর, আসিফ আকবর, নিরব, ডলি সায়ন্তনী, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তা, শুভ্রদেব, মৌসুমী, ওমর সানী, সামিথ মুখার্জী, উর্তি, ড. মাহফুজুর রহমানসহ দেশ বিদেশের গন্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
আগামী ৩ সেপ্টেম্বর লন্ডনে অনুষ্ঠিত হবে অ্যাপটির ইউরোপিয়ান লঞ্চিং। এছাড়াও বাংলাদেশের টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত রোড শো’র আয়োজনও চূড়ান্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন জেলা শহরগুলোতে কনসার্টের আয়োজন করার চিন্তা রয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয় যে, এই প্রতিভা অন্বেষন কার্যক্রম চলমান থাকবে। অর্থাৎ সিজন ১,২ এভাবে চলবে এবং পর্যায়ক্রমে অভিনয়, খেলাধুলাসহ অন্যান্য অঙ্গনের প্রতিভা অন্বেষণ কার্যক্রমও শুরু হবে।
সিনেমা, গান, টেলিভিশন, খেলা, ধর্ম, টেকনোলোজি থেকে শুরু করে স্ব স্ব ক্ষেত্রে সফল তারকাদের সাথে তাদের ভক্ত অনুরাগীরা এই অ্যাপের মাধ্যমে সরাসরি যোগাযোগের পাশাপাশি তারকাদের কাছ থেকে টিপস, উপহার এমনকি সরাসরি সাক্ষাৎও করতে পারবেন। এরই মাঝে বাংলাদেশ,ভারত, শ্রীলংকার বেশ কয়েকজন তারকা এই অ্যাপের অনবোর্ড স্টার হিসেবে যুক্ত হয়েছেন।
বলিউড, হলিউড এবং সারা বিশ্বের বিভিন্ন অঙ্গনের তারকাদের সম্পৃক্তের কার্যক্রম চলছে। প্রথম দিকে ৯ টি বৈশিষ্ট্য নিয়ে অ্যাপটির কার্যক্রম চলবে। যেমন সরাসরি কথোপকথন অর্থাৎ লাইভচ্যাট, লার্নিং সেশন, প্রশ্ন উত্তর পর্ব, এক্সকুসিভ পেইড কনটেন্ট, ফ্যান গ্রুপ, মিট আপ ইভেন্ট, গ্রিটিংস এবং ই শোকেস।
বাংলাদেশ সময়: ১৮:১৫:২৬ ১২৯ বার পঠিত