মার্কিন নতুন ভিসানীতির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ভিসানীতি করুক তাতে আমাদের কিছু যায় আসে না। যাদের দেশের গণতন্ত্র নিয়ে সারা বিশ্বে প্রশ্ন রয়েছে তারা ভিসা নীতি দিচ্ছে। ভিসানীতি আমাদেরও থাকতে পারে। আমরাও করতে পারি। অপেক্ষায় থাকুন।
শনিবার দুপুরে টঙ্গীর মিলগেট এলাকায় হাউজ বিল্ডিং হতে চেরাগ আলী কলেজগেট পর্যন্ত ৪.৫০ কিলোমিটার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের চলমান নির্মাণ কাজ পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি নির্বাচন করতে দেবে না- এমন ঘোষণার পর পরও মার্কিন ভিসানীতি এখানে কী করে তাই এখন দেখার বিষয় বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মার্কিন ভিসানীতিতে তারা বলছে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনে যারা বাধা দিবে তাদের ক্ষেত্রে প্রয়োগ হবে ভিসানীতি। এই নীতি এখন অন্ধ, বধির হয়ে থাকবে; না বাস্তববাদী হবে আমরা দেখবো।
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দুর্নীতি, দুঃশাসন বললেই বিএনপির নাম বলতে হবে। যারা দুর্নীতি, দুঃশাসন করে তারা কোন মুখে এত বেশি কথা বলছে জানি না।
সরকার থাকতে পারবে না, বিদায় নিতে বিএনপির আন্দোলনে এমন কথা ১৪ বছর ধরে শুনে আসছেন উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এই ১৪ বছরে তাদের নেত্রীর মুক্তির জন্য দৃশ্যমান কোন আন্দোলন তারা করতে পারেনি, আর তারা সরকারের বিদায় করবে আন্দোলন করে?
জামালপুরে সাংবাদিক হত্যাকান্ড নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, হত্যার সঙ্গে জড়িত হলে ওই ব্যক্তির বিচার হবে। আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হলেই প্রকৃত ব্যবস্থা। চার্জশিট হলে আওয়ামী লীগে কোন পদ থাকবে না।
মন্ত্রী এ সময় বিআরটি প্রকল্প নিয়ে বলেন, সময়ের বিবেচনায় দীর্ঘসূত্রিকায় চলে গেছে এ প্রকল্পটি। হবে কি হবে না- এরকম একটা দ্বিধা- সংশয় কাজ করেছে।
তিনি বলেন, গাজীপুরে এই সড়কের মতো প্রকল্প চিন্তা করার আগে আরো গভীরভাবে ভেবেচিন্তে প্রকল্প নিলে ভালো হতো। এখানে সম্প্রসারণের প্রস্তাব দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। তবে এখানে আমাদের যে রাস্তা তাতে ভোগান্তি বাড়াবে, দুর্ভোগে পড়বে-যেটা গোটা রাজধানীতে প্রভাব ফেলবে। আমাদের বিকল্প বাংলাদেশে অনেক উন্নয়ন প্রকল্পের রাস্তা করেছি। বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে নিরাপদ সড়কের জন্য প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প চলছে।
এ সময় সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী বলেন, সার্বিক বিবেচনায় সবচেয়ে বেশি দরকার শৃঙ্খলা, পরিবহনে শৃঙ্খলা। এটা একটা চ্যালেঞ্জ। এটা অতিক্রম করতে হবে।
তিনি বলেন, আগামী সেপ্টেম্বর অক্টোবর নাগাদ পুরো প্রকল্প সমাপ্ত করে উদ্বোধনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। এছাড়া আগামী নির্বাচনের আগে তেজগাঁও পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে করতে পারব। সেপ্টেম্বর অক্টোবরের মধ্যে মেট্রোরেল মতিঝিল পর্যন্ত করতে পারব। এর মধ্যে টানেল প্রস্তুত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সময় দিলে টানেল উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুত।
মন্ত্রী বলেন, আমরা একদিনে শত সেতুর উদ্বোধন করেছি। আরো একশ সেতু করব তার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব আমিনুল্লাহ নূরী, সেতু বিভাগের সচিব মঞ্জুর হোসেন, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মাহবুব আলম, গাজীপুর জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান, সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মো. ইসহাক, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী কাজী ফেরদৌস ও বিআরটি’র প্রকল্প পরিচালক মহিরুল ইসলাম খান প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:০২:৪৪ ১২৯ বার পঠিত