চুক্তি অনুযায়ী ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) কর্তৃপক্ষ মেট্রোরেল লাইন-৬ নির্মাণের জন্য ঋণের ১ম কিস্তি হিসেবে ৫৫ কোটি ২৯ লাখ ৭৬ হাজার ৬০ টাকা পরিশোধ করেছে অর্থ বিভাগকে৷
সোমবার (১৯ জুন) সকালে মন্ত্রিসভার বৈঠকের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ চেক হস্তান্তর করা হয়৷
পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠক শুরু হয়। এতে অংশ নেন মন্ত্রিসভার সদস্যরা।
এদিকে, পবিত্র ঈদুল আজহার তিন দিনের ছুটির সঙ্গে আর একদিন বাড়ানো হবে কিনা, সেটা জানা যাবে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর।
এর আগে, গত ১৫ জুন বৃহস্পতিবার সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী ও ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন ছিদ্দিক অর্থসচিব ফাতিমা ইয়াসমিনের কাছে কিস্তির টাকার রেপ্লিকা চেক হস্তান্তর করেন।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ডিসেম্বরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন পায়। জাপানের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা) থেকে এ প্রকল্পের প্রথম ঋণ নেয়া হয় ২০১৩ সালে। মূলত পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এ ঋণ নেয়া হয়।
দশ বছরের গ্রেস পিরিয়ডের পর ৩০ বছরে পরিশোধের শর্তে এ ঋণ নেয় সরকার। যদিও এ প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালের জুনে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয় ৩৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাইকা থেকে কয়েক ধাপে ১৯ হাজার ৭১৮ কোটি টাকা ঋণ নেয়া হয়েছে। বাকি ১৩ হাজার ৭৫৪ কোটি টাকা সরকারের অনুদান।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের যোগাযোগের ইতিহাসে নতুন মাইলফলক স্থাপন করে বাংলাদেশে প্রথম এ এলিভেটেড মেট্রোরেল উদ্বোধন করেন। তিনি শহরের উত্তরা দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেল প্রকল্পের এমআরটি লাইন-৬-এর ১১.৭৩ কিলোমিটার অংশের ফলক উন্মোচন করেন।
গত ডিসেম্বরে সীমিত পরিসরে এ স্বপ্নযাত্রা শুরুর পর থেকেই বাড়ছে মেট্রোরেলের পরিধি। দুটি দিয়ে যাত্রা শুরু করলেও এরই মধ্যে প্রথম পর্বের ৯টি স্টেশনই চালু হয়েছে। এ লাইনের আওতায় রাজধানীর আগারগাঁও থেকে উত্তরা পর্যন্ত সপ্তাহে ৬ দিন চলছে মেট্রোরেল। চালু হওয়া মেট্রোরেল প্রকল্পটির নাম এমআরটি লাইন-৬। উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত এর দৈর্ঘ্য ২১ কিলোমিটারের বেশি। এর মধ্যে থাকছে ১৭টি স্টেশন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩:০৭:০৭ ১১৬ বার পঠিত