পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন আজ নারী শান্তিরক্ষীদের ব্যক্তিগত আত্মত্যাগের স্বীকৃতি দেয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতিসংঘের শান্তি অভিযানের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জিন-পিয়েরে ল্যাক্রোইক্স এবং জাতিসংঘের ম্যানেজমেন্ট স্ট্র্যাটেজি, পলিসি অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ক্যাথরিন পোলার্ড রাজধানীতে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আলোচনাকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাতিসংঘের নারী শান্তিরক্ষী বাড়ানোর লক্ষ্য পূরণে ঢাকা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বলে উল্লেখ করে বলেন, জাতিসংঘের ইউনিফর্মড জেন্ডার প্যারিটি স্ট্র্যাটেজি অনুযায়ী বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই নারী শান্তিরক্ষীদের সংখ্যা বাড়াচ্ছে। শান্তিরক্ষীদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উপর গুরুত্ব আরোপ করে মোমেন বলেন, বাংলাদেশ শান্তিরক্ষীদের নিয়মিত এবং কাস্টমাইজড প্রি-ডিপ্লয়মেন্ট প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট ফর পিস সাপোর্ট অপারেশন অ্যান্ড ট্রেনিং (বিআইপিএসওটি) প্রতিষ্ঠা করেছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে জাতিসংঘের প্রচেষ্টার প্রতি বাংলাদেশের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, তিনি লক্ষ্য করেছেন যে নতুন ডিজিটাল প্রযুক্তি কার্যকর শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করেছে।
আন্ডার সেক্রেটারি-জেনারেল জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সেনা ও পুলিশ অবদানকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অগ্রণী অবস্থানের প্রশংসা করেন। তারা নারী শান্তিরক্ষী বৃদ্ধিতে বাংলাদেশের সক্রিয় ভূমিকা ও প্রচেষ্টার ভূয়োসী প্রশংসা করেন এবং বৈশ্বিক শান্তির লক্ষ্যে একসঙ্গে কাজ করার জন্য বাংলাদেশের আশ্বাসকে স্বাগত জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৯:৩৩:২৪ ১২০ বার পঠিত