আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) পবিত্র ঈদুল আজহা। তাই শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে পুরান ঢাকাসহ রাজধানীর বিভিন্ন কোরবানির পশুর হাট। হাটে গরু কেনা-বেচায় ব্যস্ত সময় পার করছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা।
বুধবার (২৮ জুন) রাজধানীর বিভিন্ন পশুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, কম বেশি দামের তোয়াক্কা না করেই গরু কিনছেন ক্রেতারা।
পুরান ঢাকার পশুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, ধোলাইখাল ও পোস্তগোলা শশ্মানঘাটের পশুর হাটে গরু কেনায় ব্যস্ত সময় পার করছেন পুরান ঢাকার বাসিন্দারা। সকাল থেকেই জমে ওঠে হাটগুলো। রায়সাহেব বাজার মোড় থেকে শুরু করে মুরগীটোলা পর্যন্ত ক্রেতাদের পুরোদস্তুরে আনাগোনা ছিল। অনেকেই গরু কিনে গরুর গলায় মালা পরিয়ে বাসায় নিয়ে যাচ্ছেন। আবার অনেকে কেনা শেষে হাসিল দেওয়া নিয়ে ব্যস্ত।
পুরান ঢাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ নান্টু মিয়া বলেন, আমি সবসময় দুটো গরু কোরবানি দেই। গত কাল রাতে ৪ লাখ ১০ হাজার টাকা দিয়ে একটা গরু কিনেছি। আজকেও একটা কিনতে এসেছি। হাটের অবস্থা জানি না। আমরা প্রতি বছর মহল্লার যারা কোরবানি দেই তারা সবাই অলরেডি গরু কিনে ফেলছে। বাকিরাও আজ কিনে নেবে। আগে গরু নিয়ে রাখার বেশ সমস্যা হয়। এজন্য সবসময় শেষ মুহূর্তে হাট থেকে গরু কিনি।
যাত্রাবাড়ীর পশুর হাটের একজন ক্রেতা বলেন, ভেবেছি শেষ মুহূর্তে দাম কিছুটা কমবে, কিন্তু না কমেনি। ব্যাপারীরা বলছে গরু না বিক্রি করতে পারলে নিয়ে যাবে, তবুও কম দামে বিক্রি করবো না। আর অপেক্ষা করা সম্ভব না। আমি অনেক দেখে দুই লাখ ৪০ হাজার টাকা দিয়ে একটা কিনেছি। আজ তো কেনার শেষ সময়। না কিনে কী করবো। দাম বেশি কম জানি না। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কোরবানি দিচ্ছি।
গরুর হাটের বেচাকেনা নিয়ে বেশ সন্তুষ্টি প্রকাশ করে একজন বিক্রেতা বলেন, ২৩ তারিখে ১৪টি গরু নিয়ে ঢাকায় আসছি। এতোদিন বসে ছিলাম গরু বিক্রি হয়নি। আলহামদুলিল্লাহ! গত কাল থেকে আজ সকাল পর্যন্ত ৫টা গরু বিক্রি করেছি। আশা করি শেষ পর্যন্ত আরও কয়টা বিক্রি করতে পারবো, বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা।
আরেকজন বিক্রেতা বলেন, আমরা হাটে মোট ১৮টি গরুর এনেছি। ইতিমধ্যে চারটি গরু বিক্রি হয়েছে। আশা করছি আজ রাত পর্যন্ত আরও দু’-একটা বিক্রি করতে পারবো। তাতেই চলবে। সবকিছু বাদ দিয়ে মোটামুটি একটা কিছু থাকবে।
এদিকে বৃষ্টিতে কাকভেজা হয়ে গরু নিয়ে বেশ বিপাকে বিক্রেতারা। তারা বলছেন, একটু পর পর বৃষ্টি হচ্ছে। এতে নিজেও ভিজে যায়, গরুও ভিজে যায়। জায়গা ভিজে বাজে অবস্থা হয়ে গেছে, কি এক মুশকিল। এখন গরুগুলো বিক্রি করতে পারলেই হাঁপ ছেড়ে বাঁচি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩:০০:৫৮ ১১৫ বার পঠিত