অবশেষে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে ৩ বিলিয়ন ডলার ঋণ পাচ্ছে দেউলিয়া হওয়ার দ্বারপ্রান্তে থাকা পাকিস্তান। বৈশ্বিক ঋণদাতা সংস্থাটির সঙ্গে এ বিষয়ে চুক্তি হয়েছে। আইএমএফ বলছে, দেশটির অর্থনীতি বাঁচাতে এই ঋণ দেওয়া হচ্ছে। খবর রয়টার্সের।
শুক্রবার আইএমএফর সঙ্গে পাকিস্তানের বর্তমান চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়েছে। এদিনই নতুন ঋণের চুক্তি করেছে দেশটি। জুলাই মাসে আইএমএফর ঋণ অনুমোদন বোর্ডের মাধ্যমে চুক্তিটি সম্পন্ন হয়েছে। পরপর দুটি ‘ব্রিজ লোন’ মূলত পাকিস্তানকে অনেক সুযোগ প্রদান করছে। কেননা দেশটি বর্তমানে আমদানি ব্যয় মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে। এছাড়াও সম্প্রতি তাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রায় তলানিতে এসে ঠেকেছে।
প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেছেন, ‘এই চুক্তির ফলে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জনে সক্ষম হবে পাকিস্তান এবং আল্লাহর ইচ্ছায় টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পথে যেতে পারব।’
পাকিস্তান শুক্রবার আইএমএফ থেকে চুক্তির আনুষ্ঠানিক নথি পাবে। দেশটির অর্থমন্ত্রী ইসহাক দার রয়টার্সকে বলেছেন, ‘সই, সিলসহ আমি আজ রাতের মধ্যে ফিরে আসব।’ এর আগে বৃহস্পতিবার তিনি বলেছিলেন, শীঘ্রই যে কোনো সময় চুক্তিটি হতে পারে।
ঈদের ছুটির কারণে শুক্রবার দেশের অভ্যন্তরীণ শেয়ার ও মুদ্রাবাজার বন্ধ ছিল।
আকাশচুম্বী মুদ্রাস্ফীতি এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ যা ছিল তা মাত্র এক মাসের আমদানি ব্যয় বহন করার মতো ছিল। বিশ্লেষকরা বলছেন, আইএমএফ চুক্তি অভাবে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সংকট ঋণ খেলাপিতে পরিণত হতে পারে।
দেশটি ২০১৯ সালে আইএমএফের সঙ্গে ৬.৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ চুক্তি করেছিল। যার মধ্যে ২.৫ বিলিয়ন ডলার পরবর্তীতে দ্বিতীয় ধাপে দেওয়ার কথা ছিল। সেই চুক্তির মেয়াদই শুক্রবার শেষ হয়েছে। তবে এবার নতুন করে ৩ বিলিয়ন ডলার ঋণ পাওয়া তাদের প্রত্যাশার চেয়ে বেশি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:৫০:০০ ১৬২ বার পঠিত