বৃহস্পতিবার, ৬ জুলাই ২০২৩

বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পের উদ্বোধন ২০ জুলাই

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পের উদ্বোধন ২০ জুলাই
বৃহস্পতিবার, ৬ জুলাই ২০২৩



বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পের উদ্বোধন ২০ জুলাই

দেশে প্রথম বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র তৈরি হতে যাচ্ছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সহযোগিতায় সংশ্লিষ্ট বিভাগের অধীন প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে চীনা কোম্পানি সিএমইসি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলতি মাসে এ প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন জানিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘এখন বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন আর স্বপ্ন নয়। এটি বাস্তবে রূপ নিতে যাচ্ছে। আগামী ২০ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করতে যাচ্ছেন।’

বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে একেবারেই নতুন। তবে বিশ্বজুড়ে, বিশেষ করে যেসব দেশ বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় মুনশিয়ানা দেখিয়েছে, তাদের জ্বালানির একটি বড় উৎসই এই বর্জ্য। এবার সেই পথে হাঁটছে ঢাকা উত্তর সিটি। আমিনবাজারে তৈরি হচ্ছে দেশের প্রথম বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। বর্জ্য পুড়িয়ে এখানেই তৈরি হবে জ্বালানি।

এই প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ করবে চাইনিজ কোম্পানি সিএমইসি। এরই মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ৩০ একর জমি ভরাট করে বুঝিয়ে দিয়েছে ডিএনসিসি। সেখানেই তৈরি হবে পাওয়ার প্ল্যান্ট।

প্রতিদিন একটি নিদিষ্ট পরিমাণ বর্জ্য এই প্ল্যান্টে সরবরাহ করবে ডিএনসিসি। তা থেকে সাড়ে ৪২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে, যা পরে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে এটি সবচেয়ে বড় বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র হচ্ছে উল্লেখ করে ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র বলেন, ‘প্রতিদিন এখানে সাড়ে ৪২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে, যা জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হবে। বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় তা কিনে নেবে।’

বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পের উদ্বোধন ২০ জুলাই

এমন প্রকল্পকে স্বাগত জানিয়ে জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রকল্পটি সফল হলে দেশের সব সিটি করপোরেশন কিংবা পৌরসভায় ছোট ছোট এমন পাওয়ার প্ল্যান্ট গড়ে তুলতে পারলে তা দেশের বিদ্যুৎ খাতকে আরও সমৃদ্ধ করবে।

এমন প্রকল্পে পরিবেশের দিকে বেশি যত্নবান হওয়ার তাগিদ দিয়েছেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা। ছবি: সময় সংবাদ

এ বিষয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. শাহরিয়ার বলেন, ‘আমরা ৪২ মেগাওয়াটকে বেশ কম বলছি। বাংলাদেশের প্রতিটি মিউনিসিপ্যাল থেকে যদি ৫/৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ নিয়ে আসা যায়, তাহলে তা হাজার মেগাওয়াট ছাড়িয়ে যাবে। কাজেই আমরা যদি কার্যকরভাবে পরিকল্পনাটি বাস্তবায়ন করতে পারি, তাহলে এটি অবশ্যই সম্ভব।’

তবে এমন প্রকল্পে পরিবেশের দিকে বেশি যত্নবান হওয়ার তাগিদ দিয়েছেন তারা। বর্জ্য পোড়ানোর ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৩:০৮:৪৯   ১৬৯ বার পঠিত