ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) আওতাধীন এলাকার সকল পেট্রোল পাম্প, দোকানপাট, মার্কেট ও শপিং মলে বাধ্যতামূলকভাবে মানসম্মত পাবলিক টয়লেট নিশ্চিত করতে হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর লেকশোর হোটেলে ওয়াটারএইড, অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ স্টাফ কলেজ অব ইন্ডিয়া (এএসসিআই), বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন এবং কিম্বারলি-ক্লার্কের যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ‘সাউথ এশিয়ান এক্সচেঞ্জ অন পাবলিক স্যানিটেশন’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিএনসিসি মেয়র এ কথা বলেন।
মেয়র বলেন, এ পাবলিক টয়লেটগুলো সংশ্লিষ্ট মালিকদের নিজ উদ্যোগেই করতে হবে। এসব পাবলিক টয়লেট সুন্দর ব্যবস্থাপনায় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন না রাখলে ডিএনসিসির টিম গিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলেও তিনি জানান।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, নারী ও পুরুষদের জন্য আলাদা টয়লেট থাকতে হবে। সকল নাগরিকদের তিনি ডিএনসিসির পাবলিক টয়লেট ব্যবহার করার আহ্বান জানান।
ডিএনসিসি মেয়র জানান, ‘ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে ১৪০টি পাবলিক টয়লেট রয়েছে। ডিএনসিসি’র সবার ঢাকা অ্যাপে এ পাবলিক টয়লেটগুলোর লোকেশন দেয়া আছে।’
জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্তের সঞ্চালনায় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ভারতের তেলেঙ্গানার গ্রেটার ওয়ারঙ্গল মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের মেয়র গুন্ডু সূধা রানি, পিরজাদিগুরা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের মেয়র জাক্কা ভেংকট রেড্ডি, নেপালের ললিতপুর মেট্রোপলিটন সিটির মেয়র চিরি বাবু মহারজন, গোডাওয়ারি মিউনিসিপালিটির মেয়র গজেন্দ্র মহারজন, ওয়াটারএইড দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ডাঃ মো. খায়রুল ইসলাম, ওয়াটারএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান, প্রফেসর ভি. শ্রীনিবাস চারি, পরিচালক, সেন্টার ফর আরবান গভর্নেন্স, এনভায়রনমেন্ট, এনার্জি, অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট: অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ স্টাফ কলেজ অব ইন্ডিয়া (এএসসিআই) এর সহযোগী অধ্যাপক ড. এম স্নেহলতা প্রমুখ।
আলোচকবৃন্দ পাবলিক স্যানিটেশন বিষয়ে সচেতনতা নিয়ে তাদের অভিজ্ঞতা ও ভাবনা তুলে ধরেন। পাশাপাশি, মত বিনিময়কালে তারা কোন বিষয়গুলোতে পরিবর্তন আনা প্রয়োজন সে বিষয়ে আলোকপাত করেন। অনুষ্ঠানে জনস্বাস্থ্য খাতে দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যমান সমস্যাগুলোও তুলে ধরা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০:৩৯:৪৯ ১০০ বার পঠিত