ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার সরদারপাড়া কালীমন্দিরে পাশ থেকে বস্তায় রাখা মানুষের মাথার খুলি ও হাড়গোড় উদ্ধারে রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। উদ্ধার হওয়া ওই হাড়গোড় মুরসালিন (১১) নামে এক শিশুর। সৎ বাবা মো. মিজানুর রহমানের হাতে নৃশংসভাবে খুন হয় ছেলেটি।
মুরসালিন মধুখালী উপজেলার আশাপুর এলাকার ইতি খাতুন ও মো. আশরাফুল শেখের ছেলে।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) এ তথ্য নিশ্চিত করেন পিবিআই ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আবুল কালাম আজাদ।
তিনি জানান, এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নিহত মুরসালিনের সৎ বাবা মো. মিজানুর রহমানকে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ২৩ জুলাই মাগুরর শ্রীপুর থানার ওয়াবদা মোড় এলাকা হতে গ্রেফতার করা হয়।
তাকে বিজ্ঞআদালতে সোপর্দ করা হলে আসামি মো. মিজানুর রহমান তারই সৎ ছেলে মুরসালিনকে হত্যার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় ৫নং আমলি আদালতের বিচারক মো ফরিদ উদ্দীনের কাছে জবানবন্দী দেন। সেখানেই বেড়িয়ে আসে আসল রহস্য।
জানা গেছে, ২০২২ সালের ২৬ ডিসেম্বর একটি সাদা প্লাস্টিকের বস্তায় মানুষের মাথার খুলিসহ ৭০ পিস হাড় উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর এ ঘটনায় মধুখালী থানার উপপরিদর্শক সৈয়দ তোফাজ্জেল হোসেন বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আদালত অধিকতর তদন্তের জন্য মামলাটির তদন্তভার পিপিআই এর ওপর ন্যাস্ত করে।
তদন্তে অজ্ঞাতনামা হাড়গোড় এর ডিএনএ সঙ্গে মধুখালী উপজেলার আশাপুর এলাকার ইতি খাতুন ও মো. আশরাফুল শেখ ছেলে হারানোর জিডির সূত্র ধরে তাদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় প্রমাণিত হয় যে, সেই হাড়গোড়গুলো মুরসালিনের। এ ঘটনার পর তথ্যপ্রযুক্তি সহায়তায় ঘটনার মূল অভিযুক্ত মুরসালিনের সৎ বাবা মো. মিজানুর রহমানকে ২৩ জুলাই মাগুরা জেলার শ্রীপুর থানার ওয়াবদা মোড় এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পিবিআই।
বাংলাদেশ সময়: ১৪:৫৭:৫৮ ১৪১ বার পঠিত