সোমবার, ৩১ জুলাই ২০২৩

সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি কর্তৃক নবনির্মিত কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশন ও মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিদর্শন

প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি কর্তৃক নবনির্মিত কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশন ও মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিদর্শন
সোমবার, ৩১ জুলাই ২০২৩



সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি কর্তৃক নবনির্মিত কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশন ও মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিদর্শন

একাদশ জাতীয় সংসদের সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো: রুস্তম আলী ফরাজী’র নেতৃত্বে কমিটির সদস্যগণ ৩০-৩১ জুলাই, ২০২৩ খ্রি. তারিখে নবনির্মিত কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশন এবং মাতারবাড়ি ১২০০ মেগাওয়াট আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কোল ফায়ার্ড পাওয়ার প্রজেক্ট পরিদর্শন করেন।

কমিটির সদস্য মো: শহীদুজ্জামান সরকার, জহিরুল হক ভূঞা মোহন, মনজুর হোসেন, আহসানুল ইসলাম (টিটু), মুস্তফা লুৎফুল্লাহ ও হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ পরিদর্শনে অংশগ্রহণ করেন।

কমিটির সদস্যগণ কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশন থেকে রামু স্টেশন পর্যন্ত ডুয়াল গেজ লাইনের নির্মাণ কাজের অগ্রগতি সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।

কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশন প্রকল্পের পরিচালক স্টেশনে আগত দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে একটি শপিং মল, ফুড কোর্ট, লকার ও শাওয়ার ফ্যাসিলিটিজ প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে মর্মে কমিটির সদস্যগণকে অবগত করেন। এছাড়াও তিনি বলেন, কক্সবাজার সী বিচকে বিবেচনায় নিয়ে শহরের সাথে একটি শাটল রেলওয়ে এবং পাঁচ হাজার লোকের ধারণক্ষমতা সম্পন্ন আন্তর্জাতিক কনফারেন্স হল নির্মাণের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বর্তমানে দুটি মডিউলে এক হাজার দর্শক ধারণক্ষমতা কনফারেন্স হল নির্মাণের সিদ্ধান্ত রয়েছে।

কমিটির সভাপতি বলেন, সরকারি কর্মচারীদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার বিষয়টি মাথায় রেখে জনগণের সম্পদের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। মিতব্যয়িতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য প্রকল্প পরিদর্শন করা হচ্ছে। এসময় তিনি মিতব্যয়িতা, কার্যকারিতা ও গতিশীলতা নিশ্চিতের মাধ্যমে প্রকল্পের কার্যক্রম সম্পাদনের সুপারিশ করেন।

পরে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিদ্যুৎ বিভাগের কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড এর উদ্যোগে মাতারবাড়ি ১২০০ মেগাওয়াট আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কোল ফায়ার্ড পাওয়ার প্রজেক্ট কমিটি কর্তৃক পরিদর্শন করা হয়। উল্লেখ্য যে, গত ২৯ জুলাই পরীক্ষামূলকভাবে উৎপাদনে যায় প্রথম ইউনিট।

প্রকল্প পরিচালক আগামী ডিসেম্বর নাগাদ প্রথম ইউনিট থেকে ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হবে এবং পর্যায়ক্রমে দ্বিতীয় ইউনিটের মাধ্যমে আরও ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হবে মর্মে কমিটির সদস্যগণকে অবগত করেন।

এ সময় কমিটি থেকে বলা হয় প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে প্রকিউরমেন্ট পদ্ধতিতে শুধু পিপিপি/পিপিআর এর ধারা বাস্তবায়ন নয়; বরং এটাকে সাশ্রয়ী করতে হবে। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে প্রকল্পের প্রকিউরমেন্ট এর ক্ষেত্রে সাশ্রয়ী পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়ে থাকে।

কমিটির সদস্য মো: শহীদুজ্জামান সরকার বলেন, কমিটি কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন প্রকল্প পরিদর্শন হল একটি জাগরণী ডাক। এর মাধ্যমে পারফরম্যান্স এর সাথে সাথে স্বচ্ছতা নিশ্চিতের সুপারিশ করা হয়।

প্রকল্প পরিদর্শন শেষে সভাপতি ও কমিটির সদস্যগণ প্রকল্পের অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন। এসময় দেশপ্রেমের চেতনা ধারণ করে প্রতিটি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য কমিটি সদস্যগণ অভিমত প্রকাশ করেন।

এসময় প্রকল্প পরিচালক, কমিটির সচিবসহ সংশ্লিষ্ট সাচিবিক সহায়তাকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২২:৪৬:৩৯   ১৬১ বার পঠিত