তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ছিলেন।
তিনি আজ শনিবার বেলা ১২ টায় মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল’র ৭৪তম জন্মবার্ষিকী পালন উপলক্ষ্যে সিংড়ায় শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টারে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
পলক বলেন, শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন। যুদ্ধ পরবর্তী দেশ গঠন কার্যক্রমে অনন্য ভূমিকা পালন করেছেন। দক্ষ ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সংগঠক এবং বঙ্গবন্ধুর প্রদত্ত স্বাধীনতা ও অর্থনৈতিক মুক্তিকে অর্থবহ করতে সাংস্কৃতিক বিপ্লবের পুরোধা ব্যক্তিত্বও ছিলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে শেখ কামাল নিরাপদ অবস্থানে অবস্থান করেননি। মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণে শীর্ষ ৫০ জনের মধ্যে তাঁর অবস্থান ছিলো চতুর্থ। প্রশিক্ষণ শেষে তিনি মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি এম এ জি ওসমানীর এডিসি হিসেবে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ শেষে যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ গঠনে সাংস্কৃতিক বিপ্লবের নেতৃত্ব দিয়েছেন শেখ কামাল। তিনি ক্রীড়াঙ্গনকে সমৃদ্ধ করতে আবাহনী ক্রীড়া চক্র গঠন করেন। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনে স্পন্দন শিল্পি গোষ্ঠি গঠন করেন। আবার রাজনৈতিক মুক্তির আন্দোলনের মিছিলে তিনি অগ্রগামী ভূমিকা পালন করেন।
পলক বলেন, বিগত ১৫ বছরে দেশের তথ্য-প্রযুক্তি খাতে অভুতপূর্ব জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র দূরদর্শী নেতৃত্বে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের আর্কিটেক সজীব ওয়াজেদ জয়ের নির্দেশনায় দেশের সকল স্থানে তথ্য-প্রযুক্তির প্রয়োজনীয় সকল অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। এই অবকাঠামো এবং শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সুবিধা গ্রহণ করে দেশের লাখ লাখ তরুণ-তরুণী সফল ফ্রি-ল্যান্সারে পরিণত হয়েছেন। ২০৪১ সালের প্রযুক্তি নির্ভর মেধাবী উন্নত দেশ গড়তে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তারুণ্যের অফুরান শক্তিতে প্রযুক্তি নির্ভর দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করাই আমাদের লক্ষ্য। এই লক্ষ্য পূরণে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, রোবটিক্স, সাইবার সিকিউরিটি এবং মাইক্রো প্রসেসর নিয়ে কাজ করছে দেশের প্রযুক্তি খাত। আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে শীর্ষ প্রযুক্তির দেশে পরিণত হবে বাংলাদেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে তথ্য-প্রযুক্তি খাতে এক কোটি তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদা খাতুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টারের প্রকল্প পরিচালক মো. মোস্তফা কামাল, নাটোরের জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভূঁঞা, জেলা পর্যায়ে হাইটেক পার্ক স্থাপন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক এ কে এম ফজলুল হক, সিংড়া পৌরসভার মেয়র মো. জান্নাতুল ফেরদৌস এবং স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ লুৎফুল হাবিব রুবেল।
প্রতিমন্ত্রী অনুষ্ঠানে সমবেত যুবদের মাঝে গাছের চারা বিতরণ করেন।
এর আগে, শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার চত্বরে স্থাপিত শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন প্রতিমন্ত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ২০:১৩:৫৬ ১২৯ বার পঠিত