বেঈমান, মুনাফিকদের চিহ্নিত করতে হবে এবং আজকের দিনেও তাদের কোনো ছাড় দেওয়া যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
সোমবার (৭ অগাস্ট) সন্ধ্যায় মহানগর নাট্যমঞ্চের কাজী বশির মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগ কর্তৃক ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, শহীদ শেখ কামাল মুক্তিযুদ্ধের সময় জেনারেল ওসমানীর প্রথম এডিসি ছিলেন। দুই নম্বর এডিসি ছিল খুনি নূর। ৭৫ এর ১৫ অগাস্ট ঘাতকেরা আমাদের বাসা আক্রমণ করে বাবাকে, মাকে হত্যা করে। তারপর ঘাতকেরা ৩২ নম্বরে অবস্থানকারী খুনি চক্রকে জানায়। এরপর খুনি চক্র ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর বাসার ভেতরে প্রবেশ করতে শুরু করে। গুলি করতে করতে যখন ওরা বঙ্গবন্ধুর বাসার ভেতরে প্রবেশ করতে শুরু করল তখন গুলির আওয়াজে শেখ কামাল ঘুম থেকে উঠে গেলেন। তিনি নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সকলকে ডাকার চেষ্টা করলেন। কাউকে পাওয়া গেল না। তিনি অস্ত্র নিয়ে নিচে নামলেন এবং খুনিদের প্রতিরোধ করার চেষ্টা করলেন। তখন তিনি দেখলেন যে তার ব্যাচমেট (খুনি নূর সেখানে দাঁড়িয়ে আছে)। সেখানে এত বড় বেঈমান, এত বড় মুনাফিক খুনি নূরকে দেখে তিনি হতভম্ব হয়ে গেলেন। বেঈমান মুনাফিক আমাদের পাশে থাকে, সঙ্গে থাকে। তাই আমাদেরকে বেঈমান, মুনাফিককে চিহ্নিত করতে হবে।
শেখ কামাল পরিপূর্ণভাবে তার পিতাকে অনুকরণ, অনুসরণ ও রপ্ত করেছিলেন উল্লেখ করে মেয়র তাপস বলেন, বুঝে, অবুঝে সব সন্তানের কাছে তার পিতা একজন আইডল হন, একজন আইকন হন। সন্তান তার বাবাকে জ্ঞাতসারে, অজ্ঞাতসারে অনুকরণ করেন, অনুসরণ করেন এবং বাবার শিক্ষা-দীক্ষা নিজের মধ্যে রপ্ত করেন। শেখ কামাল পূর্ণরূপেই তার পিতাকে অনুকরণ করেছিলেন, রপ্ত করেছিলেন।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি রাজিবুল ইসলাম বাপ্পির সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সজল কুণ্ডুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য আনিছুর রহমান, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২২:৫৫:৫৭ ১৬৩ বার পঠিত