ব্যাগভর্তি টাকা নিয়ে রিকশায় যাচ্ছিলেন এক ব্যক্তি। নেমে দেখেন ব্যাগে কোনো টাকা নেই। পরে পুলিশের তদন্তে বের হয়ে আসে, রিকশার পেছনে ঝুলে এক কিশোর ওই ব্যক্তির ব্যাগ থেকে টাকা চুরি করেছে। আর তাকে সহায়তা করে আরও দুজন।
এ ঘটনায় অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করেছে ভাটারা থানা পুলিশ। তারা বলছে, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় চক্রটি অভিনব কায়দায় টাকা, মোবাইল, ল্যাপটপ চুরি করে আসছে। পুলিশের খাতায় এদের নাম ‘ঝুলা পার্টি’।
জানা যায়, রাজধানীর বারিধারার একটি শোরুমে চাকরি করেন রনি। অফিস শেষে ব্যাগে করে সাড়ে ১৬ লাখ টাকা নিয়ে রিকশায় বাসায় যাচ্ছিলেন তিনি। নেমে দেখেন ব্যাগের চেইন খোলা। সেখানে কোনো টাকা নেই।
রনি বলেন, ‘রিকশা থেকে নেমে হেঁটে কিছুদূর যাওয়ার পর মনে হলো ব্যাগ হালকা লাগছে। তখন দেখি আমার ব্যাগে কোনো টাকা নেই।’
অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে ভাটারা থানা পুলিশ। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, রনির রিকশার পেছনে ঝুলে চেইন খুলে টাকা চুরি করে কিশোর তুহিন। আর তাকে সহযোগিতা করে দুই সাইকেলচালক। এদের একজন এই চক্রের প্রধান গ্রেফতার হওয়া সোহেল।
গুলশান বিভাগের উপকমিশনার মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ জানান, জিজ্ঞাসাবাদে তারা অভিনব কায়দায় চুরি করার এই বিদ্যা যার কাছ থেকে রপ্ত করেছে তার নাম জানিয়েছে। বলেছে, তিন বছর আগে তারা ওই গুরুর কাছ থেকে এই চুরিবিদ্যা রপ্ত করে। আর তাদের গুরু ঢাকার অন্য একটি এলাকায় আরও একটি গ্রুপ চালাচ্ছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবিএম আসাদুজ্জামান বলছেন, যে কিশোর (তুহিন) রিকশায় ঝুলে চুরি করে সে সোহেলের সৎভাই। তিন-চার দিন আগে সৎবাবাকে এক লাখ টাকা দিয়ে এক বছরের জন্য ময়মনসিংহ থেকে তুহিনকে ঢাকায় নিয়ে আসে চক্রের প্রধান সোহেল। তারা সবাই সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য। কাঁধে ব্যাগ, পাঞ্জাবি পরা এবং রিকশায় চড়েন এমন ব্যবসায়ীদের টার্গেট করে তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১২:২২:০৪ ১৯৩ বার পঠিত