শনিবার, ১৯ আগস্ট ২০২৩

নদীভাঙন রোধে সরকারের কার্যকর পদক্ষেপে সুফল পাচ্ছে ভাঙনকবিলতরা : এনামুল হক শামীম

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » নদীভাঙন রোধে সরকারের কার্যকর পদক্ষেপে সুফল পাচ্ছে ভাঙনকবিলতরা : এনামুল হক শামীম
শনিবার, ১৯ আগস্ট ২০২৩



নদীভাঙন রোধে সরকারের কার্যকর পদক্ষেপে সুফল পাচ্ছে ভাঙনকবিলতরা : এনামুল হক শামীম

পানিসম্পদ উপ-মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম এমপি বলেছেন, সারাদেশের নদী ভাঙন রোধে দ্রুত কাজ করছে সরকার। আর সরকারের পদক্ষেপের কারণেই সারাদেশে নদীভাঙন কমে এসেছে। আর এর সুফল পেতে শুরু করেছে এই জনপদের মানুষ। যারা এক সময় দিনরাত ভাঙন আতঙ্কে থাকতো তারা এখন পর্যটন এলাকা হচ্ছে বলে গর্ববোধ করে। পানি সম্পদ মন্ত্রনালয় মানুষের আস্থা অর্জন করেছে। এটা সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছে বলেই সম্ভব হয়েছে।

আজ শরীয়তপুরের সখিপুরে নির্মানাধীন সোনার বাংলা এভিনিউয়ের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পদ্মা সেতু হয়েছে। আর এ সেতু হওয়ায় শরীয়তপুরের গুরুত্ব অনেক বেড়ে গেছে। ৪ বছর আগেও নড়িয়ায় নদীভাঙন ছিল। হাজার হাজার মানুষ ভিটেমাটি হারা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বদৌলতে এখন আর নড়িয়ায় নদী ভাঙন নেই। ভাঙন কবলিত নড়িয়ায় জয়বাংলা এভিনিউ হয়েছে। পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। সখিপুরে সোনার বাংলা এভিনিউ হচ্ছে। জাজিরায় রুপসী বাংলা এভিনিউ হচ্ছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে এ অঞ্চলে আর নদীভাঙন থাকবে না। তবে কাজের গুনগত মান ঠিক রেখে হয়, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। কাজের ব্যাপারে কোনো প্রকার গাফিলতি, অনিয়ম ও দুর্নীতি সহ্য করা হবে না।

এনামুল হক শামীম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী প্রজন্ম নিয়ে ভাবেন, সেজন্য তিনি আগামীর বাসযোগ্য বিশ্বমানের সুবিধা সম্বলিত বাংলাদেশ গড়তে চান। এজন্য তিনি দূরদর্শী পদক্ষেপ নেন। সেজন্য তিনি ডেল্টাপ্লান-২১০০ বাস্তবায়নেরও ঘোষণা দিয়েছেন। আর এই মহাপরিকল্পনার সিংহভাগ কাজই পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করবে। এ মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে সারাদেশে নদী ভাঙন ও জলাবদ্ধতার কোনো সমস্যাই থাকবে না। এই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে।

উপ-মন্ত্রী বলেন, সারাদেশে স্থায়ী প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বাংলাদেশের মানুষ অনেকাংশে জলাবদ্ধতা ও নদী ভাঙন থেকে রক্ষা পাবে। আর এর সুফল কয়েক বছরের মধ্যে মিলবে। প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে ভাঙন রোধে স্থায়ী প্রকল্প করা হচ্ছে। উপকূল অঞ্চলে প্রতিটি বাঁধ প্রশস্ত ও উঁচু করা হচ্ছে, বনায়ন করা হচ্ছে। আর এসব স্থায়ী প্রকল্পে নদী খনন বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে এবং তা রক্ষণাবেক্ষণের জন্য জনবলও বাড়ানো হয়েছে।

এসময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (পশ্চিমাঞ্চল-ফরিদপুর) শাহজাহান সিরাজ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক সৈয়দ সাহিদুল আলম, শরীয়তপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম আহসান হাবীব প্রমূখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫:৫৭:০৮   ১২৬ বার পঠিত