বুধবার, ৩০ আগস্ট ২০২৩

‘নোবেল পেলেই অপরাধ করে পার পাওয়া যাবে, কোন দেশের আইনে আছে’

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » ‘নোবেল পেলেই অপরাধ করে পার পাওয়া যাবে, কোন দেশের আইনে আছে’
বুধবার, ৩০ আগস্ট ২০২৩



‘নোবেল পেলেই অপরাধ করে পার পাওয়া যাবে, কোন দেশের আইনে আছে’

শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলার আসামি নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষে বিবৃতিদাতাদের উদ্দেশে প্রশ্ন রেখে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নোবেল পেলেই কেউ অপরাধ করে অব্যাহতি পেয়ে যাবেন, এটা কোন দেশের আইনে আছে?

বুধবার (৩০ আগস্ট) সচিবালয়ে জাতির পিতার ৪৮তম শাহাদতবার্ষিকীর আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ এবং বাংলাদেশ সচিবালয় বহুমুখী সমবায় সমিতি এ কর্মসূচির আয়োজন করে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নোবেল বিজয়ীরা যে বিবৃতি দিয়েছেন, সেই বিবৃতির স্পেস কিনতে দুই মিলিয়ন ডলার লাগে। হিসাব করেন, দুই মিলিয়ন ডলার। আমাদের দেশের পত্রিকায় একটি বিজ্ঞাপন দেবেন, সেটির স্পেসের একটি হিসাব আছে। মার্কিন পত্রিকায় দুই মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে যে বিবৃতি তিনি দিয়েছেন, সেই টাকা কোথায় পেয়েছেন? এই অর্থ কোথা থেকে এলো?’

তিনি বলেন, ইউনূসের মামলা স্থগিত করতে বলেন, মামলা কীভাবে স্থগিত হবে? মামলার কাগজপত্র, দলিল-দস্তাবেজ ঠিক আছে কি না, দেখেন। আপনারা হাওয়ায় একটা বিবৃতি ছেড়ে দিলেন। যখন অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি করা হয়, তখন একটু দ্বিধা লাগে। তারা আসলে বাংলাদেশের নির্বাচন বানচাল করতে চায়। বাংলাদেশে নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ভণ্ডুল করতে নতুন প্ল্যাটফর্ম করতে চায়। পরিষ্কার বলতে চাই, বাংলাদেশের মাটিতে এই অশুভ খেলা আমরা খেলতে দেব না।’

বিএনপি আন্দোলন করে গোলাপবাগের গরুর হাটে হোঁচট খেয়েছে উল্লেখ করে কাদের বলেন, তাদের আন্দোলন এখন আর জমে না। বাজারে ভাটা পড়েছে। এ অবস্থায় তারা ড. ইউনূসকে নিয়ে নতুন খেলা শুরু করেছে।

ওয়ান-ইলেভেনের দুঃস্বপ্ন দেখছে তারা। আন্দোলনে শেখ হাসিনাকে হটাতে পারেনি। কীভাবে হটাতে হবে–ওয়ান-ইলেভেনের মতো ইউনূসের নেতৃত্বে একটা নতুন সরকার–এমন কথাবার্তা বাজারে আছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সেই দুঃস্বপ্ন দেখছেন কি না, জানি না। ওয়ান-ইলেভেনে ইউনূস কম চেষ্টা করেননি। সেই নাগরিক ঐক্য। তখনও তার খায়েশ ছিল, সেই খায়েশ পূর্ণ হয়নি।’

ড. ইউনূসকে নিয়ে বিবৃতি প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিবের উদ্দেশে প্রশ্ন রেখে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পর যে মানুষটি একটি শোকও প্রকাশ করেননি; চার জাতীয় নেতাকে জেলের মধ্যে মারল, একটা কথাও তিনি বলেননি; সচিবালয়ে যারা আছেন, আমি বলব বিবেককে প্রশ্ন করুন: এই ড. ইউনূস আমাদের শহীদ মিনারে যায়? কোনো দিন গেছে? এই ড. ইউনূস আমাদের জাতীয় স্মৃতিসৌধে যায়? কোনো দিন গেছে? বলুন।’

আমাদের বন্যা, জলোচ্ছ্বাসে তিনি কি কখনও এসেছেন? তিনি কি কখনও সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন? আমাদের দেশে ভয়াবহ করোনার সময়ও ড. ইউনূস কোনো কথা বলেননি। আমাদের দেশে রক্তের বন্যা বয়ে যায়, তিনি কথা বলেন না। যে মানুষ আমার সুখ-দুঃখে নেই, বাংলাদেশের সুখে-দুঃখে নেই, সে মানুষের জন্য আমাদের এত মায়াকান্না কেন?

মন্ত্রী বলেন, ‘নোবেল পেয়ে কোনো অপরাধ করেও অব্যাহতি পেয়ে যাবেন, এটা কোন দেশের আইনে আছে। শ্রমিকের অর্থ আত্মসাৎ করেন যিনি, তার মতো নোবেল বিজয়ী শ্রেষ্ঠ সন্তানের আমাদের প্রয়োজন কী? শ্রমিকের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। তার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন শ্রমিকরা।’

বাংলাদেশ সময়: ১৬:৩৬:৪৪   ৯৪ বার পঠিত