গণতন্ত্রী পার্টির নেতৃবৃন্দ বলেছেন, সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
তারা আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা, মানবতার নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিকল্পিতভাবে দেশকে উন্নয়নের ধারায় এগিয়ে নিয়ে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে একটি আধুনিক রাষ্ট্র হিসাবে প্রতিষ্ঠা করার নিরলস প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ৭১ এর পরাজিত শক্তি ও ৭৫ এর খুনিরা দেশ বিদেশী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তাই এদের মোকাবেলায় জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
তারা আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা, ১৪ দলীয় জোট নেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সকল বাঁধা ডিঙ্গিয়ে দেশের সমুজ্জ্বল ভবিষ্যত নিশ্চিত হবে। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যথাসময়ে সংবিধান অনুযায়ী সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিক জহুর হোসেন মিলানায়তনে ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় নেতৃবন্দ এসব কথা বলেন। গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. শাহাদাত হোসেন সভায় সভাপতিত্ব করেন।
সভায় সূচনা বক্তব্য রাখেন পার্টির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী কামরুল আহসান খাঁন পারভেজ। সভা পরিচালনা করেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিনহাজ সেলিম।
সভার শুরুতে শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশ্য দাঁড়িয়ে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। শহীদের প্রতি শোকগাথা কবিতা পাঠ করেন পার্টির সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য হাফিজুর রহমান মিন্টু।
সভায় বক্তব্য রাখেন কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক অসিত বরণ রায়, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি ন্যাপ এর সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী ফারুক, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল বাসদ এর আহ্বায়ক রেজাউর রশিদ খান, জাতীয় জনতা পার্টির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মজিবুর রহমান চৌধুরী হিরু, গণ আজাদী লীগের মহাসচিব নাছির উদ্দিন খান, জাতীয় পার্টির (জে.পি)’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আবুল খায়ের সিদ্দিকী আবু, সাম্যবাদী দল (এম.এল)’র কেন্দ্রীয় সদস্য কমরেড সুলতান আহমেদ বিশ^াস, মাওলানা ভাসানী স্বপ্ন বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক মনোয়ার চৌধুরী মেরী, বাংলাদেশ জমিয়তে ওলামা কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. খালেদ হাসান, বাকশালের মহাসচিব মো. জহিরুল কাইয়ুম, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ সভাপতি মানিক লাল ঘোষ, আমরা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান এর কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. সাজ্জাদ হোসেন, গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি মন্ডলীর সদস্য কানন আরা, এড. গণি, আনিসুর রহমান কচি, অশোক ধর, এড. আব্দুল গফুর, কেজি মহিউদ্দিন বাদল, মো. মোস্তফা, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য ইলিয়াস কবির, আব্দুর রাজ্জাক, মো. নজরুল ইসলাম, আতাউর রহমান বাবুল, ইদ্রিস আলী মোল্লা, এস এম মামুন, জুয়েল আহমেদ, মানিক লাল দাস, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বিশিষ্ট অর্থনীতিবীদ মেহেরুন নেছা, সাবেক ছাত্রনেতা ও আওয়ামীলীগ নেতা রাজু আহমেদ প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যাকান্ড শুধুমাত্র রাষ্ট্র ক্ষমতা পরিবর্তনের অংশ ছিলো না, এ হত্যাকান্ডের ষড়যন্ত্রের মূলে ছিলো অসাম্প্রদায়িক চিন্তা। ৭১ এর পরাজিত শক্তি ও সা¤্রাজ্যবাদী গোষ্ঠী এ নৃশংস হত্যাকান্ড ঘটিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করে একটি অস্বাভাবিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ২২:৪৯:২৯ ১৩৬ বার পঠিত