আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সাংবাদিকতা করার জন্য কারও ওপর যেন সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট ব্যবহার না হয় সেদিকে আমি অবশ্যই লক্ষ্য রাখবো। এক্ষেত্রে যেন একটা চেক এন্ড ব্যালেন্স থাকে সেটার ব্যবস্থা আমরা করব। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আজ (মঙ্গলবার) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) আয়োজিত ‘সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে বিএফইউজে’র উপস্থাপনা শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আনিসুল হক বলেন, অনেকে সাংবাদিক সেজে অপরাধ করে, কিন্তু প্রকৃত সাংবাদিক ও সাংবাদিক সেজে অপরাধ করার মধ্যে একটা পার্থক্য আছে। পার্থক্যটা যেন আমরা বুঝি। ৪২ ধারা থাকলেও একটা চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স থাকতে হবে। ৪২ ধারার অবারিত ক্ষমতা যেন কোনো ইনভেস্টিগেটিভ এজেন্সিতে না দিয়ে দেওয়া হয় সেটা নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হবে।
তিনি বলেন, ৩৫ অনুচ্ছেদে বলা আছে অপরাধ যখন করা হয় সেই সময় যে প্রযোজ্য আইন সেই আইনে বিচার হবে এবং সেই প্রযোজ্য আইনের সাজাই হবে।
আইনমন্ত্রী বলেন, ২৮ ধারায় মানহানি মামলার জন্য ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে মানহানির জন্য কারাদণ্ড ছিল। এর পাশাপাশি কারাদণ্ড বা জরিমানা পাঁচ লাখ টাকা বা উভয়দণ্ড। এখন কারাদণ্ড নেই এবং জরিমানা অনধিক ২৫ লক্ষ টাকা। আমরা চেষ্টা করছি পুরোনো মামলাগুলোর ক্ষেত্রে মানহানির জন্য সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টে কোনো কারাদণ্ড থাকবে না।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুক। সঞ্চালনায় ছিলেন সংগঠনের মহাসচিব দীপ আজাদ। প্রস্তাব উপস্থাপন করেন বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন- ডেইলি অবজারভার পত্রিকার সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বিএফইউজের সাবেক মহাসচিব আব্দুল জলিল ভূঁইয়া, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, সাবেক সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:৩৪:৪০ ২৪৮ বার পঠিত