মঙ্গলবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

জয়পুরহাটে ৬৯,৬৫০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » জয়পুরহাটে ৬৯,৬৫০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ
মঙ্গলবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩



জয়পুরহাটে ৬৯,৬৫০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ

খাদ্য উৎপাদনে উদ্বৃত্ত জেলা জয়পুরহাটে চলতি মৌসুমে রোপা আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র বাসস’কে জানায়, জেলায় এবার রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে মাঠ পর্যায়ে ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ। জেলায় চলতি ২০২৩-২০২৪ মৌসুমে ৬৯ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে উচ্চ ফলনশীল জাতের ৬১ হাজার ৮৬২ হেক্টর, হাইব্রিড জাতের ৭ হাজার ৩৬০ হেক্টর ও স্থানিয় জাতের রয়েছে ১ হাজার ৪২৮ হেক্টর। এতে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ লাখ ২১ হাজার ২৩৫ টন চাল।
উপজেলা ভিত্তিক রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে রয়েছে- জয়পুরহাট সদরে ১৬ হাজার ৯৯৫ হেক্টর, পাঁচবিবি উপজেলায় ১৯ হাজার ৩৫৫ হেক্টর, আক্কেলপুরে ১০ হাজার ৬৪৩ হেক্টর, ক্ষেতলাল উপজেলায় ১০ হাজার ৭৪০ হেক্টর ও কালাই উপজেলায় ১১ হাজার ৯১৭ হেক্টর।
জেলায় রোপা আমন চাষ সফল করতে কৃষি বিভাগের সার্বিক তত্বাবধানে ৩ হাজার ৪১১ হেক্টর জমিতে এবার বীজতলা তৈরি করা হয়। খাদ্য উৎপাদনে উদ্বৃত্ত জেলা জয়পুরহাটে রোপা আমন চাষ সফল করতে মাঠ পর্যায়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করছেন । জেলায় ৩০ জুলাই পর্যন্ত ইউরিয়া ২ হাজার ৭১৩ টন, টিএসপি ১ হাজার ৩০৯ টন, এমওপি ১ হাজার ১৪৮ টন এবং ডিএপি ১ হাজার ৭৬৩ টন সার মজুদ রয়েছে বলে জানায় কৃষি বিভাগ।
কৃষি বিভাগ জানায়, এবার জুলাই ও আগস্ট মাসে গড় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১৫৬ মিলিমিটার ও ২৭৫ মিলিমিটার। মৌসুমের শুরুতে বৃষ্টিপাত কিছুটা কম হওয়ার কারনে গভীর ও অগভীর নলকূপের সাহায্যে রোপা আমনের চারা লাগানো হয় বলে বাসস’কে জানান, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক কৃষিবিদ এনামূল হক। বর্তমানে পানির কোন সমস্যা নেই উল্লেখ করে ইতোমধ্যে জেলায় ৯৯ দশমিক ৭৫ ভাগ রোপা আমনের চারা লাগানোর কাজ সমাপ্ত হয়েছে বলেও জানান তিনি।
গত ২০২২-২৩ রোপা আমন চাষ মৌসুমে জেলায় ৭১ হাজার ৩৪০ হেক্টর জমিতে রোপা আমনের চাষ হয়েছিল। এতে চাল উৎপাদন হয়েছিল ২ লাখ ৫১ হাজার ৫৮২ টন। যা জেলার খাদ্য চাহিদা মিটিয়ে অন্যত্র সরবরাহ করা সম্ভব হয়েছিল বলে জানায় কৃষি বিভাগ ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫:৫৫:৩৬   ১৩৮ বার পঠিত